পৌষের মাঝামঝির দিকে এসে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বাসস্ট্যান্ডে ও ফুটপাতে থাকা ছিন্নমূল মানুষসহ শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। প্রায় প্রতি রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝড়ছে কুয়াশা। গত ২দিন ধরে দেখা মিলছেনা সূর্য্যরে আলোর।
তবে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে শীত কিছুটা কমলেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন শীতের রাতে বাসস্ট্যান্ডে ও ফুটপাতে রাত্রি যাপন করা ছিন্নমূল শীতার্ত এবং দরিদ্র অসহায় ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
এমতাবস্থায় জেলার নকলায় কনকন শীতকে ওপেক্ষা করে রাতে শহরের বাসস্ট্যান্ডে ও ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিতে রাস্তায় নেমে পরেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক দীপ জন মিত্র। বৃহস্পতিবার রাতে নকলা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে সবরা নজর কেড়েছেন তিনি।
কনকনে শীতের মধ্যে রাতের আধারে হঠাৎ করে ইউএনওর নিজ হাতে গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেওয়ায় ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা আবেগাপ্লুত হয়ে উঠতে সরেজমিনে দেখা গেছে। কাউকে কাউকে আনন্দে চোখের পানি ফেলতেও দেখা গেছে, দেখাগেছে তৃপ্তির হাসি মাখামুখ।
পৌর প্রশাসক ইউএনও দীপ জন মিত্র শীতকে ওপেক্ষা করে রাতের আধারে ঘুর ঘুরে কম্বল বিতরণের সময় পৌরসভার টিকাদান সুপার ভাইজার মুকলেছুর রহমান, স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস সৌরভ, সহকারী কর আদায়কারী মো. মোশাররফ হোসেন ও গৌড় দেবনাথ, সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম স্বপন ও সুপার ভাইজার ফজলে রাব্বী রাজনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও দীপ জন মিত্র বলেন, শেরপুর জেলাটি ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় কয়েকদিন ধরে এখানে হিমেল হাওয়া বইছে। দুই দিন ধরে দেখানেই সূর্য্যরে। এমন সময় ঝিরিঝিরি বাতাসের মধ্যে প্রচন্ড শীতে উপজেলার শীতার্তরা কষ্ট পাচ্ছেন। এই শীতে কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে শীতকে ওপেক্ষা করে শীত নিবারনের কম্বল নিয়ে রাতের আধারে ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছি। যতদিন কনকনে শীত থাকবে, ততদিন শীতবস্ত্র/কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।