শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাই-বোন ও স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৫ জন ঘটনাস্থলে ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নকলা উপজেলার ও বাকি ৩ জন শেরপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
রোববার সাড়ে ১১টার দিকে নকলা থেকে শেরপুরগামী যাত্রীবাহী সিএনজি ও কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে রিফাত পরিবহন নামের ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ভাতশালা এলাকায় (জোড়া পাম্প সংলগ্ন) পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং সিএনজি চালকসহ ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যান।
নিহতরা হলেন, নকলা উপজেলার ভাই-বোন গনপদ্দী ইউনিয়নের কিংকরপুর গ্রামের শাজাহান আকন্দের মেয়ে মাইসা তাসলিম মিম ও ছেলে কামরুজ্জামান বাবু এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার সুবাশ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী মিনা রানী। আর শেরপুর সদর উপজেলার কামাড়িয়া ইউনিয়নের আলিনাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোখলেছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী উম্মে কুলসুম এবং একই ইউনিয়নের কামাড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজিটির চালক লোকমান হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয় সমূহ নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম চলছে।