শেরপুর জেলার নকলায় পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. মনিরুল হাসান আজাদ-কে বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক দীপ জন মিত্র-এঁর কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে পৌর প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদায়ী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. মনিরুল হাসান আজাদ-এর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলেদেন।
এসময় সহকারী প্রকৌশলী ফখর উদ্দিন আহমেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) বাবুল হোসেন, হিসাব রক্ষক মো. ফেরদৌসুর রহমান, টিকাদান সুপার ভাইজার মুকলেছুর রহমান, স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস সৌরভ, লাইসেন্স পরিদর্শক মাসুদ রানা, কর আদায়কারী মো. মুনছুর আলী, সিনিয়র অফিস সহকারী রীনা বেগম, সহকারী কর আদায়কারী মো. মোশাররফ হোসেন, গৌড় দেবনাথ ও রাসেল মিয়া, সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম স্বপন, হিসাব সহকারী আলমগীর হোসেন, সুপার ভাইজার ফজলে রাব্বী রাজন, বিল ক্লার্ক তানজিনা আক্তার, পাইপ লাইন মেকানিক খোরশেদ আলম, পাম্প চালক আসিফ হোসেন অপু, ট্রাক চালক মাসুদ মিয়া, কর্মচারী হামিদ খাঁনসহ নকলা পৌরসভায় কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নকলা পৌরসভার বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. মনিরুল হাসান আজাদ-কে জামালপুরের বকশিঞ্জ পৌরসভায় বদলি করা হয়েছে। তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১২ খ্রি. হতে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত নকলা পৌরসভায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সহিত যথাযথ ভাবে পালন করে পৌরবাসীর মনজয় করেছিলেন। তিনি জেলা-উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত বিভিন্ন স্তÍরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব বলে অনেকে মন্তব্য করেন। মনিরুল হাসান আজাদ বলেন, কয়েকটি পৌরসভায় আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তবে নকলা থেকে আমি যাকিছু শিখেছি বা অর্জন করেছি, তা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে; নকলা থেক অর্জিত অভিজ্ঞতা কোদিন ভুলার নয়। নকলায় কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই ভবিষ্যৎ কর্মজীবন অতিবাহিত করতে চাই। সবার দোয়া থাকলে পরবর্তী কর্মস্থল অধিকতর মসৃণ ও সুখকর হবে বলে আশাব্যক্ত করেন বিদায়ী এই কর্মকর্তা।