শেরপুরের নকলায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি কৃষি প্রণোদনার ৭১০ কেজি ধানের বীজ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সেইসাথে সরকারি ধান বীজ বিক্রির উদ্দেশ্যে দোকানে রাখার অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে মোট ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে দিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল মিয়া এ আদালত পরিচালনা করেন। অর্থদন্ড প্রাপ্ত সার-বীজ ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনের ‘শাহীন বীজ ভান্ডার’র স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন ও তুরাগ বাসষ্ট্যান্ডের সামনের ‘মেহেদী এন্টারপ্রাইজ’র স্বত্বাধিকারী মুঞ্জুরুল হক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শাহীন বীজ ভান্ডার থেকে ১৬টি বস্তায় ভরা ৬৫৩ কেজি সরকারি ধানের বীজ জব্দ করা হয় ও দোকানের মালিক নাসির উদ্দিন-কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেহেদী এন্টারপ্রাইজ থেকে ২টি বস্তায় ভরা ৫৭ কেজি সরকারি ধানের বীজ জব্দ করা হয় ও দোকানের মালিক মুঞ্জুরুল হক-কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল মিয়া।
অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি ধানের এসব বীজ নকলার নয়। তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে এনেছেন। যদিও এসব ধানের বীজ ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাগর চন্দ্র দে, পুলিশ সদস্য, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উৎসুক জনগন উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বীজ আইন ২০১৮-এর ২৪ এর ১ ও ২ ধারায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বীজ জব্দ ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে এ ধরনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। জব্দকৃত ধানের বীজ গুলো উপজেলার প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।