শেরপুরের নকলায় বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস (Prematurity Day) উপলক্ষে সচেতনতা মূলক র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে র্যালিটি বের হয়ে হাসপাতাল চত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা-এঁর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল হাসান, মেডিকেল অফিসার এন্ড ডিজিস কন্ট্রোল (এমওডিসি) ডা. ওলি উল্লাহ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অ.দা) ডা. রাশেদুজ্জামান রাতুল প্রমুখ।
এসময় এমটিইপিআই আব্দুর রহিম, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্স, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-এর আওতাধীন মন-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট তাহমিনা আক্তার, প্রধান অফিস সহকারী আবু তারেক মুহাম্মদ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলাম, উপজেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি স্টোরকিপার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট সরোয়ার হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট আবু কাউসার বিদ্যুৎ, ওয়ার্ড ইনচার্জ আলেয়া পারভীন, সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমা বেগম, মিডওয়াইফাই নুরনাহার মির্জাসহ নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক, মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ওয়ার্ড ইনচার্জ, স্বাস্থ্য সহকারীগন, মিডওয়াইফাই, সিএইচসিপি ও নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, প্রতি বছর ১৭ নভেম্বর বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস (Prematurity Day) পালিত হয়। এর অংশ হিসেবে এবছরও সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এদিবসটি পালিত হয়েছে। তারা আরো জানান, সাধারণভাবে ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর তখন নবজাতকের ওজন সাধারণত হয় ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে। তবে যেসকল শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করে জন্মগ্রহণ করে এবং জন্মের সময় তার ওজন ২.৫ কেজির নিচে হয়, তখন ওই নবজাতককে অপরিপক্ব বা অপরিণত (Premature) নবজাতক বলা হয়। এসব শিশু অনেক সময় শারীরিক জটিলতায় ভোগে এবং তাদের প্রতি বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। অপরিণত অবস্থায় জন্মানোর কারনে দেশে নবজাতক মৃত্যুর হার উদ্বেগ জনক হারে বাড়ছে। বক্তারা বলেন, কম বয়সে সন্তান জন্মের কারণেই, অপুষ্টির কারনেই অধিকাংশ নবজাতক শিশু মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি নিউমোনিয়ার কারনেও নবজাতক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই মৃত্যু হার নিয়ে উদ্বেগে আছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকসহ সুশিলজন। অপরিণত নবজাতক জন্ম রোধ ও নিউমোনিয়ার প্রতিকার-প্রতিরোধ করা এখন সময়ের দাবী বলেও তারা মন্তব্য করেন।