শেরপুরে সময় টেলিভিশনের শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শেরপুর প্রেস ক্লাব ও নকলা প্রেস ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত গোপন এক অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ন্যাক্কারজনক দুঃসাহসিক হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞা।
এরপরে খবরটি বিভিন্ন মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে শেরপুর প্রেস ক্লাব ও নকলা প্রেস ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের স্বাক্ষরিত নিজ নিজ সংগঠনের প্যাডে নিন্দা জানানো হয়।
এছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শেরপুর প্রেস ক্লাবের এক জরুরি সভায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের দাবিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার বিকেলেই শেরপুর প্রেস ক্লাবের নিজস্ব প্যাডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলের স্বাক্ষরিত চিঠি জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান-এঁর হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এসময় শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি, শাহরিয়ার মিল্টন, আলমগীর হোসেন, বিপ্লব দে কেটু ও মহিউদ্দিন সুহেলহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক নেতারা জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক দুঃসাহসিক হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি। এতে সংবাদ ও সাংবাদিকতার জগতে নেতিবাচক নজির স্থাপন হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বাধাগ্রস্থ হতে পারে দেশ ও জাতির উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড। আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে দুর্নীতি। তাই রাষ্ট্রের চতুর্থ শক্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগন শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে শেরপুর জেলা সদর ও নকলা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক নেতারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।