শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ভারী ও উন্নত মানের খাবারের প্যাকেট ও নগদ টাকা এবং একটি মসজিদের চালের ছাউনির জন্য ঢেউটিন উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলায় মরিয়ম নগর গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মাঝে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবারের প্যাকেট এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতি পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার করে ৯টি পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও স্থানীয় মসজিদুদ দাওয়া’র চালের ছাউনির জন্য এক বান্ডেল ঢেউটিন উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তালিকা প্রস্তুত পূর্বক এসব বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু।
রক্তসৈনিক শেরপুর-এর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক শেরপুরের সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি তথা স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ হামিম মোল্লা ও মুন্সী আশিক, রক্তসৈনিক শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক রায়হান হাবিব আকাশ, রক্তসৈনিক কিশোরগঞ্জের সমন্বয়ক সাকিব মিয়া, রক্তসৈনিক ঝিনাইগাতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া, রক্তসৈনিক শেরপুরের নারী দলনেতা শাম্মী খন্দকার রিমি।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক চরমোচারিয়া ইউনিয়নের আহবায়ক তাহসান শাকিল, সদস্য আবু সাঈদ, ইমান আলী, তাপস, আলভী, মেজবাহ ও স্বর্ণালি আক্তারসহ অনেকে।
স্থানীয় শিলং মারাক বলেন, আমাদের বাড়ী গুলো পাহাড়ি ঢলে প্রায় সব বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। আমাদের বসবাস প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় এখানে কেউ সহায়তা নিয়ে আসেননি। তবে বন্যা পরবর্তী সময়ে সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোতে সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি হামিম বলেন, আমরা রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেবচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে আমাদের সামর্থ অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিতে পেরে মানসিক ভাবে তৃপ্তি পাচ্ছি।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক সোনার টুকরার চেয়েও মূল্যবান। তিনি জানান, বন্যা শুরুর দিন হতে তথা চলতি বছরের ৪ অক্টোবর থেকেই বন্যা কবলিতদের উদ্ধার কাজ, শুকানো খাবারসহ রান্না করা ভারী খাবার বিতরণ, ভারী খাবারের প্যাকেট বিতরণ এবং এপর্যন্ত ৪৬টি ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় দরিদ্র পরিবারের পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ঘর নির্মাণের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। এ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সামর্থ অনুযায়ী দেশের অসহায় মানুষের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে, ইনশাআল্লাহ। সহযোগিতার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের গঠনমূলক পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।