সৌদি আরবের স্বনামধন্য জুসুর এমদাদ কোম্পানির জন্য ১০টি পদে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের লক্ষে শেরপুর (নকলার গনপদ্দী) সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র্রে (টিটিসি) কর্মী বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শেরপুর টিটিসিতে বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী বাছাই পরীক্ষায় শেরপুর সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মীর্জা ফিরোজ হাসান, বিদেশী ডেলিগেট হিসেবে হরি হরন ও সাইফুল ইসলাম, টিটিসির চীপ ইন্সট্রাক্টর এস.এম আজহার, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইনসহ সৌদি আরবের জুসুর এমদাদ কোম্পানিতে চাকরি পেতে আগ্রহী অর্ধশতাধিক চাকরি প্রার্থী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেসকল পদে চাকরির জন্য প্রার্থী বাছাই করা হয় সেসব পদগুলো- কার ওয়াশ, ফুয়েল ফরকোর্ট এটেনডেন্ট, স্টেশন ইনচার্জ, স্টোর ক্যাশিয়ার, স্টোর এটেনডেন্ট, কফি শপ বারিস্তা, হাউজ কিপিং, কনস্ট্রাকশন-এগ্রিকালচার ওয়ার্কার, ইন্ডোর ক্লিনার ও মহিলা ক্লিনার।
জানা গেছে, চ‚ড়ান্ত বাছাইয়ে মনোনিতদের প্রার্থী বা কর্মীদের কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া সরকার নির্ধারিত ১লাখ ৬৫ হাজার টাকা ফি-তে সৌদি আরবে প্রেরণ করা হবে। তাদের ডিউটি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে এবং সপ্তাহে ৬দিন। কর্মীর আকামা, বাসস্থান ও চিকিৎসা কোম্পানি বহন করবে। কোন কর্মীর ভিসা কোন প্রকার রিপ্লেস বা ক্যান্সেল করা হবে না। প্রতিটি পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সিলেকষন করা হয়। প্রার্থী বাছাই পরীক্ষায় সকল প্রার্থীকে মূল পাসপোর্ট ও এককপি ফটোকপি নিয়ে হাজির হতে হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পাসপোর্টের ফটোকপি জমা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের করণীয় কি তা কোম্পানির লোকজন নিদৃষ্ট সময়ে মোবাইলে বা ইমেইলে বা যেকোন মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন বলে জানা গেছে।
শেপুর টিটিসির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করে তথা প্রশিক্ষিত শ্রমিক বিদেশে প্রেরণ করতে পারলে কর্মীরা দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনতে স্বক্ষম। তাদের অর্জিত রেমিট্যান্সে একদিকে যেমন তাদের পরিবারে সুখ-শান্তি ফিরে আসবে, অন্যদিকে দেশের রেমিট্যান্স আয় বাড়বে। দক্ষ জনশক্তি তথা প্রশিক্ষিত শ্রমিকগন দেশের গৌরব; তারাই হলেন আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাই রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদেরকে মানসিক ভাবে অধিক সম্মানের জায়গায় স্থান দিতে সকলকে অনুরোধ জানান বক্তারা। শেরপুর (নকলার গনপদ্দী) সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র্রে (টিটিসি) এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মীর্জা ফিরোজ হাসান। বছরে কয়েকবার বিভিন্ন দেশের বিদেশী ডেলিগেটগন ও বিভিন্ন কোম্পানির র্কৃপক্ষ স্বশরীরে শেরপুর টিটিসি-তে এসে প্রার্থী বাছাই করেন। তাই প্রশিক্ষিত সবাইকে নিজ নিজ পাসপোর্ট করে নেওয়ার পরামর্শদেন অধ্যক্ষ মীর্জা ফিরোজ হাসান।