ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলছে। ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা, আহরন করা, সরবরাহ করা, মজুদ করা, বাজারজাত করা, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সরকারের এই নির্দেশনা মাছ ব্যবসায়ীরা যথাযথভাবে পালন করছেন কি-না, তা দেখতে শেরপুরের নকলা পৌর মাছের বাজার পরিদর্শন করেছেন জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাগন। বুধবার শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নকলা বাজার পরিদর্শন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রনব কুমার কর্মকার।
এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনিক রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মহৎজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নকলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, আহরন করা, সরবরাহ করা, মজুদ করা, বাজারজাত করা, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। নিষেধ অমান্য করলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই বিধি নিষেধ অমান্য কারীকে বা অভিযুক্ত বা অপরাধীকে জেল জরিমানাসহ বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা নির্বাহী বিচারকগন।
এরপরেও কিছু অসাধু লোক আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ সময়েও ইলিশ মাছ ধরা, আহরন করা, সরবরাহ করা, মজুদ করা, বাজারজাত করা, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিমময়সহ ইলিশ সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ কাজের সাথে জড়িত আছেন বা চেষ্টা করছেন। তাই দেশে ইলিশ বৃদ্ধির লক্ষে সারাদেশের ন্যায় নকলাতেও নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছেন মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টজন।