শেরপুরের নকলায় গরুচুরি বেড়েছে। গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। গরু নিয়ে আতঙ্কে আছেন খামারি ও কৃষকরা। টহল পুলিশ, বিট পুলিশিং ও গ্রাম পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করার দাবী কৃষকসহ সর্বসাধারনের। গরুচুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় দূশ্চিন্তায় অনেকেই গরু পাহারা দিতে গরুর ঘরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বর্দী পূর্বপাড়া গ্রামের একই বাড়ি থেকে বুধবার ভোররাতে সহোদর দুই ভাইয়ের বিদেশী জাতের ৬টি গরু চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় গরুচুরির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের টহল জোরদারের দাবি করছেন এলাকাবাসী। আয়ের উৎস্য গরুগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় গরুর মালিক জয়নাল আবেদীন ও নুর হোসেন আজ দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
জানা গেছে, জয়নাল আবেদীনের বাছুরসহ একটি বিদেশী জাতের গাভী, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা এবং তার ছোটভাই নুর হোসেনের বাছুরসহ ২টি বিদেশী জাতের গাভী ও একটি ষাড় গরু চুরি হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কৃষক নুর হোসেন জানান, ওই রাত পৌণে একটার দিকে গোয়ালঘর থেকে গিয়ে শুয়ে পড়েন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘুম থেকে জেগে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখেন ঘর ফাঁকা। একই সময় তার বড়ভাই জয়নাল আবেদীনের গোয়ালঘরেও কোন গরু নেই দেখে ডাক চিৎকার শুরু করেন।
পরে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে শান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি গরু খোঁজাখোঁজি ও আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে নুর হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে গরু চুরির বিষয়ে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আয়ের উৎস্য চুরি হয়ে যাওয়ায় তারা কিভাবে সংসার চালাবেন এনিয়ে চিন্তার যেন শেষ নেই বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় অনেকে জানান, সরকার পতনের পরে পুলিশসহ স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহীনির কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাওয়ায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। এমতাবস্থায় টহল পুলিশ, বিট পুলিশিং ও গ্রাম পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করলে চোরের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন কৃষকসহ সর্বসাধারন; এমনটাই মনে করছেন সবপেশাশ্রেণির মানুষ।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বুধবার সকালে নুর হোসেন ও জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। ওসি বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। চোরদের চিহৃত করে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।