শেরপুরের নকলায় কৃষক-নেতৃত্বাধীন সিএসও শক্তিশালীকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ততা উন্নত করার মাধ্যমে তৃণমূল সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তর করা (স্ববল প্রজেক্ট) এর স্থানীয় নেতৃত্বে মাল্টি স্টোকহোল্ডার ফোরাম গঠন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নকলা উপজেলা কৃষিপন্য উৎপাদক সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সভাপতি দুলাল হোসেন-এর সভাপতিত্বে ও স্ববল প্রজেক্ট-এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর স্বপন স্কু এর সঞ্চালনায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুমান হাসান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওশেদুজ্জামান, উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা হামিদুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ স¤প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. সুজন মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, উপজেলা কৃষিপণ্য উৎপাদক সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন সেলিম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী হাফিজুর রহমান, কৃষিপন্য উৎপাদক সমবায় সমিতির সদস্য হাসনা হেনা প্রমুখ।
স্ববল প্রজেক্ট-এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর স্বপন স্কু জানান, স্ববল প্রকল্প ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে। ক্ষুদ্র কৃষকরা যাতে সামষ্টিকভাবে স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, দাবি-দাওয়া উপস্থাপন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংগঠনিকভাবে অধিকতর সক্রিয় হতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রকল্পের নানামূখী কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।
তিনি অরো জানান, দেশের ১৩টি জেলার ৩৩ উপজেলায় এই প্রকল্প চলমান আছে। এরমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ, সহায়তায় রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থার তত্বাবধানে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার ১১টি উপজেলায় স্ববল প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এর পূর্ণ নাম Shifting the power to grassroots communities through strengthening farmer led CSOs and improving their engagement in the sustainable development process.
অন্যান্য বক্তাগন তাদের নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষ থেকে স্ববল প্রকল্পের সকল সদস্যকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক তার উৎপাদনের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন, এতদসঙ্গে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যাক্তিবর্গ তাঁদের কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করবে বলে তাঁরা আশাব্যক্ত করেন। এসময় উপজেলা বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন সংস্থা বা সমিতির নেতৃবৃন্দসহ স্টেকহোল্ডারগন উপস্থিত ছিলেন।