সারাদেশের মোট ৫০টি সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের দুইটি সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে। এরমধ্যে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির চ‚ড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৯৫% এর বেশি নম্বর পেয়ে ‘এ’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে প্রথম স্থান এবং শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৯০%-৯৪% এর মধ্যে নম্বর পেয়ে ‘বি’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শাখা-২ (সমন্বয়, এপিএ ও আইসিটি) এফ-৪/বি, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ থেকে এক অফিস নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিভাগীয় বড় বড় ও প্রাচীন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলোকে পিছনে ফেলে সারাদেশের মধ্যে শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সপ্তম স্থান অর্জন করার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন আমার সহকর্মীগন ও শিক্ষার্থীরা। আমি আমার সকল সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে নিয়ে এই পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। সবার সার্বিক পরামর্শ ও সবার কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি। সবার পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি দৃঢ় আশাব্যক্ত করেন।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির চ‚ড়ান্ত ফলাফল (প্রাপ্ত নম্বরের ক্রমানুসারে) অন্যান্য সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলো হলো- রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৯৫% এর বেশি নম্বর পেয়ে ‘এ’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে ২য় এবং ৯০%-৯৪% এর মধ্যে নম্বর পেয়ে ‘বি’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৩য় ও ভোলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৪র্থ স্থান অর্জন করে।
এছাড়া ৮০%-৮৯% নম্বর পেয়ে ‘সি’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৫ম, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৬ষ্ঠ, রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৮ম, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৯ম, রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ১০ম, পর্যায়ক্রমে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট, সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, বরগুনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও শরিয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ২২তম স্থান অর্জন করে।
তাছাড়া ৭০%-৭৯% নম্বর পেয়ে ‘ডি’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে নওগাঁ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ২৩ তম স্থান অর্জন করে, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গøাস এন্ড সিরামিকস্, পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টাংগাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট, ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৩০তম স্থান অর্জন করে।
৭০% এর নিচে নম্বর পেয়ে ‘ই’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ৩১তম স্থান অর্জন করে, পর্যায়ক্রমে সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কক্সবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, চাঁপাই-নবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, লক্ষীপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মাগুরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সর্বশেষ রাজশাহী সরকারি সার্ভে ইন্সটিটিউট ৫০তম স্থান অর্জন করে।