শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় শতভাগ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান নকলায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু শেরপুরসহ দেশের ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ নকলার ইউএনও’র সাথে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় নকলার ইউএনও ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে অফিসার্স ক্লাব কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা নকলায় সাংবাকিদের সাথে বিদায়ী ইউএনও’র মতবিনিময় সভা নকলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনকে প্রেসক্লাব কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নকলা প্রেসক্লাব’র উন্নয়নে তারুণ্যের অর্জনে সর্বসাধারনের আস্থা

শেরপুর কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ভাঙচুর-সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ৫ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশের সময় | সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪২ বার পঠিত

শেরপুর একদফা আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ির চাপায় এবং গুলিতে অনন্ত ৫ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ৪ আগস্ট রবিবার বিকেলে শহরের খরমপুর ও থানামোড় এলাকার ওই নিহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা ও কলেজ শিক্ষার্থী জেলা সদরের পাকুড়িয়া চৈতনখিলা এলাকার মাহবুব আলম (২১), ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এলাকার শারদুল আশীষ সৌরভ (২২), শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার সবুজ হাসান (২০) ও জেলা সদরের মিম আক্তার (১৮)। তারা সবাই শিক্ষার্থী ছিল।

জানা যায়, বিকেল ৩টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা শহরের খোয়ারপাড়, শেরপুর সরকারি কলেজ গেইট ও খরমপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে খরমপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় চাপা দিলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আহত হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনজন শিক্ষার্থী মারা যায়। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান মিম আক্তার ও সবুজ। পরে গাড়িচাপায় নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হতাহতের পর উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও জনতা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ সুপার শপ, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্স, সদর থানা, আনসার ক্যাম্প, ফায়ার সার্ভিসসহ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, আলীশান রেস্টুরেন্ট, অনুরাধা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। হতাহতের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে শহরে চলে আসায় পুরো শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এসময় আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।