আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরে সারাদেশ ব্যাপী কিছু না কিছু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হলেও শেরপুরের নকলা উপজেলায় বিএনপির আনন্দ মিছিল ও ছোট্ট একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিচ্ছিন্ন হামলা ছাড়া তেমন কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হয়নি।
সোমবার বিকেলে কিছু বিক্ষোব্ধ তরুণ চন্দ্রকোনা মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা করার পরে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাধার মুখে তা বন্ধ করা হয়। এছাড়া বিক্ষোব্ধরা থানায়, আওয়ামী লীগের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলার চেষ্টা করলেও পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক পান্নু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন বুলবুল, জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক রিপন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হক তালুকদার চাঁন মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল হক লাঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সদস্য রাব্বীনুর চৌধুরী ও জুয়েল মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম ও যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসেন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাদেক হোসেন, শহর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মীর হাসান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেনসহ সিনিয়র অনেকের বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি।
পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক পান্নু বলেন, দেশের প্রতিটি সম্পদ আমাদের সবার তাই তরুনরা আবেগে উশৃঙ্খল হয়ে কিছু বিনষ্ট করতে চাইলেও তাদেরকে বুঝিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে।
পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন বুলবুল বলেন, আনন্দ মিছিল চলাকালে থানায় আক্রমনের আশঙ্কা মনে করে আমি ও এনামুল হক পান্নুসহ আমরা সিনিয়র কয়েকজন থানার মেইন ফটকে নিজ নিজ মোটরসাইকেল রেখে বাধার সৃষ্টি তৈরি করে রেখেছিলাম। তাছাড়া আমরা কয়েকজন সার্বক্ষনিক থানার সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম যেন বিক্ষোব্ধরা থানায় প্রবেশ করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে নাপারেন।
সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ থানায় কর্মরত সবাইকে দৃঢ় আশ্বাস দিয়ে আসেন যে, থানায় কোন প্রকার হামলা করার সুযোগ নেই। থানার সকলকে নির্ভয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ ভাবে চালিয়ে যেতে অভয় দেওয়া হয়।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে সামান্য কিছু দোকানপাঠ ছাড়া নকলা বাজারের সকল দোকানপাঠ বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যার পর থেকেই নকলা শহর সম্পূর্ণ নিরব হয়েগেছে। আজ সাপ্তাহিক বাজারের দিন হলেও বাজারের মধ্যে ও রাস্তায় তেমন লোকজন নেই।