ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাটি বিভিন্ন কারনে ঐতিহ্যবাহী ও জনবহুল একটি উপজেলা। এই উপজেলাটি ৯টি ইউনিয়ন ও একটি দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই থানার ভাউন্ডারী ঘেষা ঢাকা-শেরপুর-নাকুগাঁও স্থল বন্দরের হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে স্থানীয় অগণিত পরিবহন ছাড়াও দিন-রাত ২৪ ঘন্টা দূরপাল্লার যানবাহন যাতায়াত করে। তাছাড়া এ উপজেলাটি শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) হতে বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ উপনেতা সাবেক সফল কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী’র নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় দেশ বিদেশেও এটি গুরুত্ব উপজেলা হিসেবে পরিচিতি বহন করে। নানাদিক বিবেচনায় নকলা থানাটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, জনসেবা ও জননিরাপত্তা দানকারী পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাতযাপনের জন্য ভালো কোন আবাসিক ভবন নেই। ওসি’র জন্য একটি হাফ বিল্ডিং থাকলেও বৃষ্টির সময় সারা ঘরে পানি পড়ে। এছাড়া অন্য একটি হাফ বিল্ডিং ঘর আছে; যা প্রায় একযুগ আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু পরিত্যক্ত ওই ঘরেই এসআই, এএসআই ও নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হয় এবং হচ্ছে। দুইটি ভবনের সারা ঘরে বৃষ্টির পানিতো পড়েই, দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত হওয়ায় যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। যে বা যারা জনগণের নিরাপত্তায় সদা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন, অথচ তাদেরকেই আজ জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে রাত্রী যাপন করতে হচ্ছে। যা কারো কাম্য নয়। বিষয়টি ঐতিহ্যবাহী নকলা উপজেলাবাসীর জন্য লজ্জাজনকও বটে। তাই সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার নকলা থানায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যদের জন্য অত্যাধুনিক মানের সম্ভব না হলেও, অন্তত নিরাপদে রাতযাপনের উপযুগী আধুনিক মানের আলাদা দুইটি আবাসিক ভবন নির্মানের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
মোঃ মোশারফ হোসাইন
সভাপতি, নকলা প্রেসক্লাব, শেরপুর।
মোবাইল নং: ০১৭১২-৩৬৬ ১৭৬