শেরপুরের নকলায় হেলাল উদ্দিন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। সে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের দুধেরচর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে এবং পোশায় কৃষক।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল ১১ টার দিকে নিজের পুকুরে সেচ দেওয়ার বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের নিকটে হেলাল উদ্দিনের পড়ে থাকা মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানার পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নেয়।
কেউ বলছেন বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে, আবার কেউ বলছেন হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জনমনে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হেলাল উদ্দিন ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে কুরবানি দেওয়া শেষে পুকুরে সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক পাম্পের সুইচ দিতে যায়। প্রায় ঘন্টা খানেক পরে অজ্ঞাত একলোক হেলাল উদ্দিনকে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে তার ছেলে মামুনকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নকলা থানার এসআই আশরাফুল আলম মৃতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হেলাল উদ্দিনের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃতের প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।