শেরপুরের নকলা উপজেলায় ঈদ-উল-আযহা নামাজের ১টি আগাম জামাতসহ মোট ১০২টি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে।
উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে ১৬ জুন (রবিবার) সকালে নকলা পৌরসভাধীন চরকৈয়া গ্রামে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা নামাজের ১টি আগাম জামাত এবং ১৭ জুন (সোমবার) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও অন্তত ১০১টি ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নকলা উপজেলার সুপরাভাইজার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নকলা উপজেলায় রবিবারে ১টি আগাম জামাত ও সোমবারে ১০১টি ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সংগৃহীত তথ্য মোতাবেক উপজেলায় ১০১ টি ঈদগাহ ময়দানের মধ্যে পৌরসভায় ১৪টি, ১নং গনপদ্দী ইউনিয়নে ১০টি, নকলা ইউনিয়নে ৯টি, উরফা ইউনিয়নে ১৫টি, গৌড়দ্বার ইউনিয়নে ১১টি, বানেশ্বরদী ইউনিয়নে ৫টি, পাঠাকাটা ইউনিয়নে ৮টি, টালকী ইউনিয়নে ১৩টি, চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ৮টি ও ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ৮টি ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিছু মুসল্লি দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে ঈদ ও রোজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম সমূহ পালন করে আসছেন। এর অংশ হিসেবে এবারও সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে নকলা পৌরসভা চরকৈয়া গ্রামে ঈদ-উল-আযহা নামাজের আগাম জামাত রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা (০৭:৩০ মিনিট) এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
চরকৈয়া এলাকার আগাম জামাতের ইমাম সারোয়ার জাহান জানান, তারা সৌদিআরবের সাথে দিনের মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে রোজা ও ঈদের জামাতসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম করে আসছেন। ধর্মীয় ও সরকার বা রাষ্ট্রীয় আইনের বাহিরে কোন কাজ তারা করেন না বলেই, তাদের জামাত চলাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, দুই শতাধিক মুসল্লির সমন্বয়ে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরুষ জামাতের পাশাপাশি ঈগাহ মাঠে পর্দার আড়ালে মহিলাদের জামাতে অংশ গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন নকলাবাসীসহ দেশ ও বিদেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নকলার মানুষ খুবই শান্তপ্রিয়। এখানকার যেকোন উৎসবে সবার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অংশ গ্রহন মুগ্ধ করার মতো। যেকোন ধর্মের যেকোন বৃহৎ উৎসবে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নজির নেই। তবুও বিভিন্ন পেশাশ্রেণী জনগনের অংশ গ্রহনে প্রস্তুতি সভা করাসহ উপজেলার প্রতিটি ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।