ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় শেরপুরের নকলা উপজেলার ২ হাজার ১৬৯ জন সুবিধাভোগীর মাঝে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর নির্দেশে অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় এনে তাদের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হয়।
এর অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচির চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এর আগে কর্মসূচির সুবিধাভোগী পাঠাকাটা ইউনিয়নের অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ভিডবিøউবি কর্মসূচির কার্ড প্রদান করা হয়। পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় ইউপি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মতিউর রহমান, কৈয়াকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, ছালেহা বেগম ও সুলতানা আক্তার সম্পা, সাধারন ইউপি সদস্য রুবেল উদ্দিন, আনারুল ইসলাম, আদম শফিক, হামিদুল ইসলাম, বাজু মিয়া, মাফিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, আমজাদ আলী ও ওবায়দুল হক, নকলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধভোগী অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত দুইশতাধিক নারী ও গ্রাম পুলিশগন উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুস ছালাম জানান, বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই মহতী কার্যক্রমকে সফলতার সহিত সম্পন্ন করতে শক্তিসালী পরিদর্শনকারী টিম রয়েছে। প্রশাসন ছাড়াও এই কাজের সাথে মনিটরিং কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। এ কাজে সরাসরি নিয়োজিত আছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সরকার জীবনচক্র ভিত্তিক কাঠামোর আওতায় অসচ্ছল মহিলাদের (বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, অসচ্ছল মহিলা) উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনার জন্য এ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান জানান, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। “স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা” মূলনীতি অনুসরণ করে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার আলোকে স্থায়ীভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা প্রদান ইত্যাদি উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপকারভোগীরা সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতি মাসে নিজ একাউন্টে ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা করে থাকেন, যা ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন গঠন হিসেবে কাজ করে। এতেকরে নারীদের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ২ হাজার ১৬৯ জন ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধাভোগী ছাড়াও ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)-এর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৭ হাজার ২৪ পরিবার এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ন্যায্যমূল্যের পণ্য ক্রয়ের সুবিধা ভোগ করছেন উপজেলার আরো অন্তত ১৩ হাজার ৩৬০ টি পরিবার।