শেরপুরের নকলায় পৌরসভা পর্যায়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এর মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরের দিকে পৌরসভার মিলনায়তনে পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান লিটন-এঁর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ)-এর জেলা ব্যবস্থাপক বিদ্যুৎ কুমার নন্দী বাল্যবিয়ের সামগ্রিক চিত্র ও সেলপের উদ্যোগ বিষয়ক কার্যক্রমের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া সেলপ’র অফিসার শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মোঃ মনিরুল হাসান আজাদ, সহকারী প্রকৌশলী ফখর উদ্দিন আহমেদ, কর আদায়কারী মোঃ মুনছুর আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) বাবুল হোসেন, হিসাব রক্ষক ফেরদৌসুর রহমান, সহকারী কর আদায়কারী মোশাররফ হোসেন ও গৌড় দেবনাথ, প্যানেল মেয়র ইন্তাজ আলী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ সুফিয়া বেগম, জমিলা বেগম ও সুফিয়া বেগম; সাধারণ কাউন্সিলর জরিফ হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিক, ফরিদ আহম্মেদ লালন, তোতা মিয়া, জিয়াউল হক, মো. ইয়াদ অলী ও রফিকুল ইসলাম; নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উমর ফারুক ও নকলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, নকলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, স্থানীয় সুশীলজন, বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জানান, যে বা যারা ভূয়া জন্মসনদ, এফিডেভিট এবং নোটারী পাবলিক ব্যবহার করে বাল্যিবিবাহ সম্পাদনে সহায়তা করে তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে বা আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে পারলে বাল্যবিয়ে কমবে। এছাড়া কাজী ও ইমাম-মোয়াজ্জেমদের আরো সচেতন করতে হবে বলে তারা মন্তব্য করেন। এছাড়া বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরো কঠিন হস্তে মোকাবেলা করার জন্য বক্তারা প্রস্তাব করেন। বাল্যবিয়ে সংগঠিত হলে বর ও বরের বাবাকে আইনের হাতে তুলে দিতেও পরামর্শ প্রদান করা হয়।