শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ-কে কায়দা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার (২৬ মে) সকালে নকলা শহরের সুমন স্মৃতি কিন্ডার গার্টেন মাঠে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাদ্রাসাটির সুপার মাওলানা মো. ওলি উল্লাহ-এর নেতৃত্বে প্রথমে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে চেয়ারম্যানের হাতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা স্মারক (ক্রেস্ট) তুলে দেওয়া হয়।
এসময় মাদ্রাসাটির সহকারী সুপার মাওলানা মো. মোশারফ হোসেন, সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন, ছাইদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মুর্শিদা বেগম, খাদিজাতুল জান্নাত, সোহেলুর রহমান, সাহানুর রহমান সাদ্দাম; সহকারী মৌলভী মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা নাফরিন সুলতানা ও কব্দুল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীগন, নকলা প্রেস ক্লাবের সদস্য রেজাউল হাসান সাফিত ও হাসান মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ-এঁর শুভাকাঙ্খীজন উপস্থিত ছিলেন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ নকলা উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে যুবলীগের থানা কমিটির সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করি। ২০১৫ সালে নকলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এখনো দায়িত্ব পালন করছি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোনো অনিয়ম, অবিচার বা আর্থিক কেলেঙ্কারি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি ২০১৮ সালে নকলা উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখনকার প্রায় এক বছর আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পরিষদ পরিচালনা করেছি। ওই অল্প সময়ের মধ্যেই আমি শেরপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০১৯ সালে আমি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বরং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সমর্থ হই। এবছর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, তাছাড়া জনগণের চাহিদা পূরণে একপ্রকার জনগনের চাপের কারনে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধ্য হই। এসব বিবেচনা করেই আপনারা পুনরায় আমাকে উপজেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নকলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বড় একটি নির্বাচনী ইসতেহার দিয়েছি। এখন আমার প্রথম কাজ হলো সকলকে সাথে নিয়ে আমার দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা। সকলের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে নকলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সামনে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। এর জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নকলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাহবুবুল আলম (সোহাগ), দোয়াত-কলম প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেছেন। উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৬ জন ভোটার রয়েছেন। এই নির্বাচনে মোট ভোটারের ৪৫.৯৬ ভাগ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।