শেরপুরের নকলা উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ‘ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়’-এর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) নিয়োগ পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়। এতে জেলার নকলা পৌরসভার মাউড়া এলাকার মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক প্রত্যাশি ১০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৪ জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। ৪ জনের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক দুই ধাপের পরীক্ষা অংশ গ্রহন করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনি নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়নের পরে বিকেল থেকে একাডেমীক সনদপত্র প্রদর্শন ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন শুরু হয়। পরীক্ষা শেষে প্রার্থীদের প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। সবশেষে প্রধান শিক্ষক (শূণ্যপদ) চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন করতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন নিয়োগ বোর্ড।
এমপিও ভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আনিছুর রহমান সুজা এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) মো. হাবিল উদ্দিন। এছাড়া ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক’র প্রতিনিধি (ডিসি প্রতিনিধি) প্রদীপ কুমার দাস, মহাপরিচালক’র প্রতিনিধি (ডিজি প্রতিনিধি) শ্রীবরদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বর্তমানে পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিবিদ্যা নিকেতন-এ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১০ অক্টোবরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিবিদ্যা নিকেতন-এ সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ১৯৯৯ সালের ৫ অক্টোবরে একই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে এখনো কর্মরত আছেন।
নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারনে আপাতত কোনদিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করবেন তা সুনিদৃষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে কর্তৃপক্ষ যেদিন চাইবেন ঠিক সেদিনই তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করবেন বলে তিনি জাননা। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটি এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি ‘ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়’-এর মতো স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হতো, তাহলে কোন প্রকার তদবির ছাড়াই অপেক্ষাকৃত অধিক যোগ্যতা সম্পন্নরা নিয়োগ পেতেন। ফলে শিক্ষকতা পেশায় অধিকতর মেধাবীরা মনোনিবেশন করতেন। তাতে পাঠদান ও গ্রহনে আনন্দগন পরিবেশ সৃষ্টি হতো বলে মনে করেন সুশীলজন।
তথ্য মতে, মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ নকলা পৌরসভার মাউড়া এলাকার মো. সামছুল হকের ছেলে। তিনি ১৯৭৩ সালের ১০ জানুয়ারিতে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৮৮ সালে এসএসসি, ১৯৯২ সালে এইচএসসি, ১৯৯৪ সালে বিএ এবং ২০০১ সালে বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন।