শেরপুরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে সদ্যবহিষ্কার হওয়া আমিনুল ইসলাম বাদশাকে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া (যদিও পরে ক্ষমা করে দেওয়া হয়) জাহিদুল ইসলাম জুয়েলকে গোপন ভোটের মাধ্যমে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন জনগণ।
বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটর সাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফারুক আহমেদ ফারুক পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩ ভোট।
শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৫ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন ছালেম কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১০ ভোট।
ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৫৫ টি ভোট কেন্দ্রে ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৮৬ টি ভোট কেন্দ্রের কোথাও কোন গোলযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্র শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটারগন ভোট দিয়েছেন।
তবে উভয় উপজেলাতে আশানুরূপ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রীবরদীতে ৩৪.২৫ শতাংশ এবং ঝিনাইগাতীতে ৩৫.৬৩ শতাংশ ভোট পরেছে।
ভোটারগন যেন নিশ্চিন্তে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন সেজন্য ৩ প্লাটুন বিজিবি, ৪২৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৯৯৫ জন আনসার এবং র্যাবের ৪টি টহল দল নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছেন। পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন জনগনকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এতে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না বলে সরেজমিনে বুঝা গেছে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে বলে অনেকে জানান।