শেরপুরের নকলায় উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন ২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের সুবিধাভোগী নারীদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১১ টার সময় উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর অংশ হিসেবে উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত-এর সভাপতিত্বে গ্রামীণ হতদরিদ্র ও অসহায় সুবিধাভোগী ৩৬ নারীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপকরণ সমূহের মধ্যে প্রতিটি নারীর মাঝে নির্ধারিত পোশাক, মাটি কাটার খাচা, কুদাল ও মাটি সমান করার জন্য দোরমুজ বিতরণ করাসহ প্রতিটি দলের জন্য দা, রশি, পাটি, পানি রাখার একটি করে কলস ও সচেতনামূলক ব্যানার প্রদান করা হয়েছে।
উপকরণ বিতরণ শেষে এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষনের অংশ হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত নিজ হাতে মাটি কেটে দিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন।
এসময় বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. উছমান আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক এ.এস.এম.বি করিম শাহজাহান, যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সিঞ্জু, সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য মুকুরি বেগম ও সালেহা বেগম, ইউপি সদস্য মনির হোসেন, ছামিদুল হক ও রোকন উদ্দিন, ইউনিয়ন ওয়ার্কার অমিত হাসানসহ উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন ২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য সদস্য ও গ্রাম পুলিশগন এবং স্বপ্ন প্রকল্পের সুবিধভোগী ৩৬ জন নারী উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৯টি করে ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ড থেকে ৪ জন করে মোট ৩৬ জন করে সুবিধাভোগী নারীকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন করে এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ হিসেব মতে উপজেলার মোট ৩২৪ জন নারীকে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছেন। এই নারীরা ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদিত সরকারি সম্পদসমূহ বছরব্যাপী রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এর জন্য তারা হাজিরা ভিত্তিতে প্রতিদিন ২৫০ টাকা হারে শ্রমিক ভাতা পাবেন।