এবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে বন্যহাতির তাণ্ডপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ৪০/৫০টি বন্যহাতির দল ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে তাণ্ডব চালিয়ে ৭টি ক্রুশ ও গম্বুজ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে একদল বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙে সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে। এ সময় ওই ধর্মপল্লীর ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে খ্রিষ্টভক্তদের ধর্মীয় প্রার্থনা করতে সিঁড়ি পথে স্থাপিত ৪টি ক্রুশ ও ৩টি গম্বুজ ভেঙে ফেলে। মিশন এলাকার মাদার মেরির মূর্তির চারপাশের গ্রিলের ক্ষতি করে। এছাড়া ধর্মপল্লীর গাছের কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফুল ফল খেয়ে নষ্ট করে।
এতে মুহুর্তের মধ্যে ধর্মপল্লীর ভেতরে বসবাসরতদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা ডাক চিৎকার কররে গ্রামবাসী জড়ো করে তাদের সহায়তায় মশাল জ্বালিয়ে ও খরকুটায় আগুন লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অবশেষে আগুনের ভয়ে বন্যহাতির দলটি বুধবার ভোর রাতে মিশন এলাকা ত্যাগ করে।
বারমারী সাধু লিও খ্রিষ্টধর্মপল্লীর পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, বন্যহাতির দল মঙ্গলবার মাঝ রাতে কাঁটা তারের বেড়া ভেঙে মিশন এলাকায় প্রবেশ করে। পরে ৪টি ক্রুশ ও ৩টি গম্বুজ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রিলের ক্ষতি সাধন ও গাছের কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফুল ফল খেয়ে-ফেলে নষ্ট করে। তিনি বলেন, আমরা সারারাত নির্ঘুম থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বন্যহাতির দলটি মিশন এলাকা থেকে তাড়াতে সক্ষম হই। তবে মিশন এলাকায় আাতঙ্ক বিরাজ করছে বলে তিনি জানান।