শেরপুরের নকলায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে যথাযথ নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের পরে ‘ ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেলের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সিনিয়র সহসভাপতি ফেরদৌস রহমান জুয়েল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুল আলম আজাদ আলমগীর, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া ও সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আলতাফ আলী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাঙালি জাতির জাতীয়তার ইতিহাসে ঐতিহাসিক দিন; স্বাধীনতাসংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে এই সরকার গঠন করা হয়। ১২ জন আনসার সদস্যের একটি দল বঙ্গবন্ধু-এঁর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সরকারের নামকরণ করা হয় মুজিবনগর সরকার। এম.এ.জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী, উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনিক সরকারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ’র ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য তৌহিদুর রহমান ডালিম, নকলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন ও নূর হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলু, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন ও সদস্য রেজাউল হাসান সাফিতসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।