বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ওলামা ঐক্য পরিষদের আলেচনা সভা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কাওয়ালী সন্ধ্যা নকলায় স্বপ্ন প্রকল্পের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন দেশব্যাপী পরিচিত নকলার কৃতি সন্তান কবি মার্জেনা চৌধুরী আমাদের মাঝে আর নেই শেরপুরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শেরপুর টিটিসিতে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জালে আটকা পড়া অজগর বনে অবমুক্ত শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা শেরপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে এসপি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে নকলায় বিক্ষোভ মিছিল সামবেশ নকলায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল

শেরপুর-২ আসনে প্রবীণ-নবীনে নামমাত্র লড়াই : কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭০ বার পঠিত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১৪৪ শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে প্রবীণ-নবীনে নামমাত্র লড়াই চলছে। এই আসনে কাগজে কলমে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও, বাস্তবে বা মাঠপর্যায়ে নৌকার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বল্লেই চলে। তাই ভোটের দিন (৭ জানুয়ারী, রবিবার) ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করাটা এক প্রকার চ্যালেঞ্জ হবে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটারসহ অভিজ্ঞজন।

এই আসনে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও মূলত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে টানা ৭ বারের মতো মনোনয়ন প্রাপ্ত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি ও তাঁর কর্মী সমর্থকগন।

বাংলার অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরী (নৌকা)-এঁর মতো একজন হেভিওয়েট ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন প্রার্থীর সাথে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর মনোনীত প্রার্থী নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা সাংবাদিক লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া মশাল প্রতীক নিয়ে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নালিতাবাড়ী উপজেলার নাগরিক সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর ও তার কর্মী সমর্থকগন ঈগল প্রতীক নিয়ে একপ্রকার ঢিলেঢালা মনোভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।

নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে মতিয়া চৌধুরীর নৌকা প্রতীকের অজস্র পোস্টার টানানো হলেও অন্য দুই প্রার্থীর নিজ নিজ প্রতীকের যথেষ্ট পোস্টার টানানো হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুরের ঈগল প্রতীকের বেশ কিছু পোস্টার নালিতাবাড়ীতে টানানো হয়েছে, তবে নকলা পৌর শহরে নামমাত্র কিছু ঈগল প্রতীকের পোস্টার ছাড়া এর বাহিরে পোস্টার নজরে পড়েনি। এছাড়া জাসদ মনোনিত প্রার্থী লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া-এর মশাল প্রতীকের কিছু পোস্টার নালিতাবাড়ীতে ঝুলানো হলেও নকলা উপজেলার কোথাও মশাল প্রতীকের পোস্টার ঝুলানো দেখা যায়নি।

মাইকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত নৌকার প্রচার করা হলেও, নামমাত্র প্রচার করা হচ্ছে ঈগল প্রতীকের। তাছাড়া মশাল প্রতীকের প্রচারের অংশ হিসেবে নকলাতে ২/৩ দিন মাইকে প্রচার করা হয়েছে। যদিও নকলাতে মশাল প্রতীকে ভোট প্রার্থনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রার্থীর নিজের টাইম লাইনে দেখা গেছে। তবে নালিতাবাড়ীতে সব প্রতীকের (৩ জনের) প্রচার কাজ ভালো ভাবেই চলছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা না থাকায় কাঙ্খিত ভোট উৎসব হবে কি না; এমন সংশয় প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটারগন। ভোট গ্রহনের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি এখন রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে আড্ডার একমাত্র আলোচিত বিষয়।

একদিকে বিএনপি’র নির্বাচন বয়কট এবং ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিতের প্রচারপত্র বিলি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা সমর্থকগন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ওঠান বৈঠক ও পথসভাসহ সকল প্রকার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারন একজন একটি রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রার্থী, অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোটারদের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করতে নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন তারা।

মতিয়া চৌধুরী বারবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় কল্পনাতীত উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার বিষয়টি দলমত নির্বিশেষে সকল পেশা-শ্রেণীর ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আসবে বা আসছে, যানাকি আসারই কথা। ফলশ্রুতিতে এ নির্বাচনে নকলা উপজেলা থেকে কেউ মতিয়া চৌধুরী-এঁর সাথে প্রতীদ্বন্দ্বীতা করছেননা বলে অনেকে মনে করছেন।

নির্বাচনের বিপক্ষে প্রচারপত্র বিলির বিষয়ে বিএনপি’র অনেকে বলেন, বাঙলার মানুষ এই সাজানো নির্বাচনকে বয়কট করবে। ডামি নির্বাচনের উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তাদের প্রচারপত্রে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করছেন।

উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় অনেকে বলেন, বিএনপির অযৌক্তিক দাবী ও ভোটদানে ভোটারদের নিরুৎসাহিতের প্রচারপত্র বিলির বিষয়টি ভোটারদের মাঝে প্রভাব পড়বে না। তবুও তাদের এমন আচরনের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় নিয়েই ভোট কেন্দ্রে সর্বাধিক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দফায় দফায় ওঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও গনসংযোগ করেছি। নির্ধারিত দিন ও সময় পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানান।

অনেকে জানান ৭ জানুয়ারী বৈরি আবহাওয়া থাকলে হয়তোবা ভোটার উপস্থিতি কিছু কমতে পারে; তবে নতুন ভোটারসহ সাধারণ ভোটাররা এবার ভোটাধিকার প্রয়োগে বেশ আগ্রহী। বিএনপিসহ দেশের সকল দলের প্রার্থী জাতীয় এই নির্বাচনে অংশ নিলে এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় অনেক বেশি উৎসব মুখর হতো বলে নতুন ভোটাররা মনে করছেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা ও নালিবাড়ী উপজেলা) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৫৩৭ জন। এরমধ্যে, নকলা উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৭৬ হাজার ১২৪ জন এবং নালিতাবাড়ীতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৩ জন। নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভোটারদের ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহন করতে মোট ৭১টি ভোটকেন্দ্র এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোটারদের ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহন করতে মোট ৮৩টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।