শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১ নকলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের জন্য বীজ সার ও গাছের চারাসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ জামাত বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে সারাদেশে যখন কার্ফিও বিরাজমান, নকলার জনগন তখনো যেন মায়ের কোলে জরুরি ভিত্তিতে নকলা থানায় আবাসিক ভবন দরকার নকলায় বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার দাবিতে ও শিক্ষার্থীর ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন নকলায় উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির টিউবওয়েল বিতরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শ্লোগানের প্রতিবাদে নকলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন এবার শেরপুরকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে ইত্যাদি অনুষ্ঠান : সকল কাজ প্রায় শেষ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় নকলায় “মাদককে না বলুন” কর্মসূচি বাস্তবায়নে শপথ গ্রহণ

নকলায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপির গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪৪ বার পঠিত

শেরপুরের নকলায় বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিয়মিত গণসংযোগের পাশাপাশি ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে নাযেতে ভোটারদের অনুরোধ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছেন।

এর অংশ হিসেবে বুধবার শেষ বিকেলে উপজেলার ৭নং টালকী ইউনিয়নের কাচারী বাজার এলাকায় উপজেলা এবং ৬নং পাঠাকাটা ও ৭নং টালকী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণসংযোগের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় পাঠাকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিদুল মফিদুল ইসলাম তালুকদার, টালকী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ ইয়াহিয়া, পাঠাকাটা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শামীম কবিরাজ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমসহ পাঠাকাটা ও টালকী ইউনিয়ন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় নেতা-কর্মীরা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ড্যামী নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়। শ্লোগানের অংশ হিসেবে “জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার”। “ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে, মাঠে আছি থাকব”। “অবৈধ ড্যামী নির্বাচন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট লুটেরা ভোট চোরদের একতরফা নির্বাচন জনগণ মানেনা”। “জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো”। “আমরা রাজপথেই আছি, ছিলাম; অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবো”। ”প্রহসনের নির্বাচন, মানিনা মানব না; অবৈধ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাব না”। “অসহযোগ আন্দোলন চলছে চলবে”। অবৈধ তফসিল মানি না মানবো না”। ”অবৈধ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে পারেনা, পারেনা”। ”আওয়ামী লীগের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও”; এসব উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ সরকারের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কাজে অংশ নেওয়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, আমরা বেশকিছু ধরে দেশ ও জাতির গণতান্ত্রীক মুক্তির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে আসছি। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করা ও মনগড়া তফসিল অবৈধ ঘোষণা করাসহ সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল করার পাশাপাশি আমার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ড্যামী নির্বাচন বর্জনে দেশনায়ক তারেক রহমানের ডাকে আমরা নিয়মিত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মিটিং-মিছিল করে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত জনগণের ন্যায্যদাবী আদায় নাহবে, ততদিন জনস্বার্থে আমাদের আন্দোলন চলবেই চলবে। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু যৌক্তিক ও বিভিন্ন অযুক্তিক মন্তব্য করেন তারা।

তবে সাধারণ জনগণসহ ভোটাররা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা জানান অঘোষিত ও অনির্ধারিত কর্মসূচির মতো বিএনপি একেক দিন একেক জায়গায় কর্মসূচি পালন করে। এক জায়গায় কিছুক্ষণ কাজ করেই নেতা-কর্মীরা হঠাৎ উদাও হয়ে যায়। তাতে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের উদয় হচ্ছে।

বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে অনেকে নিজের মতোকরে বলেন- আমরা বিএনপির একজন সমর্থক মাত্র। আমরা বরাবরই ধানের শীষে ভোট দেই, এটা ঠিক। তবে বর্র্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন সিনিয়র নেতা বিদেশে বসে নির্দেশনা দেন; আর দেশের সিনিয়র নেতারা তা বাস্তবায়নে কর্মসূচি ঘোষনা করেন। পরে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা একেক দিন একেক জায়গায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। হাতে গুনা কয়েকজন তরুণ নেতা ছাড়া উপজেলা কেউ আন্দোলনের মাঠে নেই। এতেকরে নেতারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকলেও, বিএনপির সাধারণ সমর্থক ভোটারদের বিভিন্ন কারনে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।