রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় গৃহহীন জামাল উদ্দিন ২০ বছর ধরে রাত কাটান মসজিদে শেরপুর সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, দ্রুত বিচার দাবী নকলায় টিসিবি পণ্যের ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ চলছে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষক! নকলায় তারুণ্য উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ পৃথিবীর একমাত্র উড়ন্ত স্তন্যপায়ী প্রাণি বিলুপ্তির পথে নকলায় এসএসসি-৯৫ ব্যাচের মিলনমেলা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শেরপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র কমিটি গঠন নকলায় শাক সবজি চারার হাটে বেচাকেনার ধুম নকলায় দিন দিন তুলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, এখন তুলা যেন সাদা সোনা

৯ ডিসেম্বর নকলা হানাদার মুক্ত দিবস

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৮ বার পঠিত

৯ ডিসেম্বর, নকলা পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর দিনে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সীমান্ত জেলা শেরপুরের নকলা উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতারিত করে যুদ্ধকালীন ১১নং সেক্টরের আওতায় থাকা নকলা অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ানো হয়।

তথ্য মতে, মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে ১১নং সেক্টরের তথা ব্র‏হ্মপুত্র নদের উত্তরে পাকবাহিনীর হেড কোয়াটার আহম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ। অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর গুরুদায়িত্বে ছিলেন এম. হামিদুল্লাহ এবং ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল আবু তাহের।

হানাদার বাহিনীর মূল টার্গেটে থাকা নকলাতে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে গৃহহীন করেছিল হাজার হাজার মানুষকে। হত্যা করেছিল শত শত মুক্তিকামী যুবকদের। শহীদ হয়েছিলেন ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তবুও মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় বানাজিৎ শিং ত্যাগী ও ব্রিগেডিয়ার সানাতন শিং এর উদ্যোগে এবং কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টু-আইসি আব্দুর রশিদ ও সিকিউরিটি কর্মকর্তা একলিম শাহ্সহ ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। হানাদাররা পিছু হটলেও ১৩০ জন এদেশীয় দূসর তথা বদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়।

পরের দিন ১১৭ জন রাজাকার-বদর ১১০ টি অস্ত্রসহ কোম্পানী কমান্ডারের কাছে আত্মসমর্পন করে। সকাল ১১ টায় নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বর্তমানে সরকারি) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলণ করা হয়।

নকলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম জাতিয় পতাকা উত্তোলণের সময় মিত্রবাহিনীর মেজর বানাজিৎ শিং ত্যাগী, ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল আবু তাহের, কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন, ইপিআর ওয়্যার্লেস অপারেটর ফরহাদ হোসেন, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শেরপুরের প্লাটুন কমান্ডার যথাক্রমে নুরুল ইসলাম হিরু, জমির উদ্দিন ও এবি সিদ্দিক; কোয়ার্টার মাষ্টার জুলহাস উদ্দিন ফকির এবং মুক্তিযোদ্ধের গোয়েন্দা বিভাগের আবুল হাশেম ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজারো মুক্তি কামী সাধারন জনগনের ঢল নামে।

দিবসটির স্মরণে উপজেলা প্রশাসন, নকলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান, নকলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।