শেরপুরের নকলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উপলক্ষে এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টিসেবার বাস্তবায়নে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক ও মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. ওয়ালি উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ভিটামিন ‘এ’ মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। এই ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে হলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। তাই কি কি খাদ্যে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায় উপস্থিতিদের সামনে সেসব খাবারের পরিচয় তুলে ধরেন। তাছাড়া ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের বিষয়ে উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারনা চালানোর অনুরোধ জানানো হয়।
এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসারগন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই), স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, নার্স, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও অংশীজনসহ নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ এই এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় অংশ গ্রহন করেন।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার মোট ২৮ হাজার ৯৩৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসূল খাওয়ানো হবে। ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৩ হাজার ১৭০ জনকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২৫ হাজার ৭৬৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসূল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে ২১৬টি অস্থায়ী (ইপিআই কেন্দ্র) ও অতিরিক্ত ১টি কেন্দ্রসহ মোট ২১৭ কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব ক্যাপসূল খাওয়ানোর জন্য ৪৩৪ জন স্বেচ্ছাসেবক (কর্মী) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ২৮ হাজার ৯৩৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসূল খাওয়ানোর জন্য ২১৭ টি কেন্দ্র তদারকিতে প্রথম সাড়ির ১০৮ জন এবং দ্বিতীয় সাড়ির ১০ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।