বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ওলামা ঐক্য পরিষদের আলেচনা সভা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কাওয়ালী সন্ধ্যা নকলায় স্বপ্ন প্রকল্পের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন দেশব্যাপী পরিচিত নকলার কৃতি সন্তান কবি মার্জেনা চৌধুরী আমাদের মাঝে আর নেই শেরপুরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শেরপুর টিটিসিতে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জালে আটকা পড়া অজগর বনে অবমুক্ত শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা শেরপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে এসপি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে নকলায় বিক্ষোভ মিছিল সামবেশ নকলায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল

আজ ৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী মুক্ত দিবস

মো. মোশারফ হোসাইন:
  • প্রকাশের সময় | বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৯ বার পঠিত

আজ ৬ ডিসেম্বর, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মিত্র বাহিনীর তীব্র আক্রমনে টিকতে না পেরে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা শ্রীবরদী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। তবে এ যুদ্ধে পাক হানাদারদের হাতে শ্রীবরদীর অন্তত ৩১জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হত্যা করা হয় আরও এলাকার অনেককে।

মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মিত্র বাহিনীর আক্রমণে হেরে যায় পাকহানাদার বাহিনী। পরে পাকসেনারা ছুটে আসে শ্রীবরদীর দিকে। এ সংবাদ পান ১১ নম্বর সেক্টরের কর্নেল আবু তাহের। তার নেতৃত্বে গেরিলা সৈনিকদের নিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। কর্নেল তাহের আরো জানতে পারেন ৫ ডিসেম্বর রাতে কামালপুর থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বকশিগঞ্জ ও শ্রীবরদী হয়ে পাকিস্তানি মেজর আইয়ুব জামালপুর যাবে। সেই সূত্র ধরে শ্রীবরদীর হতে বকশিগঞ্জ সড়কের টিকরকান্দি এলাকায় সন্মুখ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। মেজর আইয়ুব সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সেই রাস্তায় আসার পথে শুরু হয় যুদ্ধ। রাতভর চলে মুখোমুখি যুদ্ধ। বিস্ফোরিত হয় স্থলমাইন। চলে গুলি বর্ষণ। এলাকার লোকজন ভয়ে ঘরবাড়ি ফেলে ছুটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ে। অবশেষে এ যুদ্ধে নিহত হয় মেজর আইয়ুবসহ পাকসেনারা।

পাকসেনাদের পরাজিত হওয়ার এ খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ভোরে শতশত লোক জড়ো হয় শ্রীবরদী হতে বকশীগঞ্জ সড়কে। সবার কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। এ সময় সেখান থেকে দলে দলে উচ্ছ্বসিত মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধারা আসে শ্রীবরদী বাজারের পুরাতন হাসপাতাল মাঠে। এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওইসব মুক্তিকামী সাধারণ মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধারা। সেই পাক হানাদার বাহিনীর পরাজিত হওয়ার বর্ণনা দেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী (বীর প্রতীক বার)। তিনি জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দিন ছিল শ্রীবরদীর জন্যে বিজয়ের দিন। এ যুদ্ধে মেজর আইয়ুবসহ পাকসেনারা পরাজিত হওয়ার কারণে শেরপুর ও জামালপুরের পাকসেনারা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু ছালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরু জানান, ওই সময় কাটাখালি, ফুলকারচর, তেনাচুড়া, টিকরকান্দি, রাঙাজানসহ বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ হয়েছে। পাকসেনারা অনেক বাড়ি ঘরে হামলা করেছে। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। অনেক নারী হয়েছে ধর্ষণের শিকার। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলো আজো মানুষ ভুলতে পারেনি। স্বাধীনতাযুদ্ধে পৌর শহরের থানা রোডে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের বাসায়, ভায়াডাঙ্গা, বালিজুরি, রাঙাজানসহ কয়েকটি স্থানে রয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান ও বধ্যভূমি। এসব কবরস্থান ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষনের চেষ্টা চলছে। প্রশাসন ও স্থানীরা মিলে শ্রীবরদীর বধ্যভূমি ও শহীদদের কবরস্থান সংরক্ষণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। এ দিনটি আরো বর্ণাঢ্য করে জাতির সামনে তুলে ধরতে ও নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় বিকশিত করতে সচেতন মহলসহ সকলকে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।