বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ (বাপশিপ) এর শেরপুর সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার নতুন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ইন্সটিটিউটের ২০৯নং কক্ষে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শেরপুর সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর পরিমল চন্দ্র দে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের ইন্সট্রাক্টর এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান মিলন-কে সভাপতি ও কম্পিউটার বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মো. মেহেদী হাসান-কে সাধারণ সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট এক বছর মেয়াদী কার্যকরী নতুন পরিষদ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর মো. আনোয়ার হোসেনকে উপদেষ্টা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে। লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ইন্সট্রাক্টর নাদিম আল সাঈদ খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক কম্পিউটার বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মাকসুদা পারভীন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান, প্রচার সম্পাদক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মনির হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক গণিত বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. সাইফুল ইসলাম, প্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. নজরুল ইসলাম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর পরিমল চন্দ্র দে ও সিভিল বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ (বাপশিপ) এর শেরপুর সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি আমার নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনে চেষ্টা করে যাব। দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমাদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মনোন্নয়নের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে মডেল হিসেবে পরিচিতি পেতে চাই। এরজন্য শেরপুর সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটকে একটি মডেল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হিসেবে পরিণত করতে আমরা সবাই বদ্ধ পরিকর’।
কার্যকরী পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ (বাপশিপ) সাধারণত পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধা সমূহ সরকার ও জাতির সামনে তুলে ধরে জীবন-মানের উন্নয়নসহ ইন্সটিটিউটের সার্বিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পরিবর্তন আনয়নে বিশ্বাসী। সেহেতু শেরপুর সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার নবগঠিত কার্যকরী পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে আমিও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধা সমূহ সরকার ও জাতির সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে জীবন-মানের উন্নয়নসহ ইন্সটিটিউটের সার্বিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পরিবর্তনে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবী আকারে উপস্থাপনে সচেষ্ট থাকব’। এটা বাস্তবায়নে নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সবাই সংকল্প বদ্ধ বলেও তিনি জানান। এরজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন।