শেরপুর জেলার সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলা নিয়ে মোট ৩টি সংসদীয় আসন (১৪৩, ১৪৪ ও ১৪৫) গঠিত। শেরপুর-১ (শেরপুর সদর-১৪৩), শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী-১৪৪) ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী-১৪৫)।
এই তিনটি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত ৩ জনসহ মোট ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদের মধ্যে, শেরপুর-১ আসনের টানা ৬ষ্ঠবারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আহসানুল হক আকন্দ, জাতীয় পার্টির মনোনীত ২ প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক মনি ও সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইলিয়াছ উদ্দিন; বিএনএম এর মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী বারেক বৈদেশী, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ ও মো. ফারুক হোসেন।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর মনোনীত প্রার্থী নালিতাবাড়ীর উপজেলার সাবেক সাংবাদিক নেতা লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জায়েদুর রশীদ শ্যামল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.ডি.এম শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. সুন্দর আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, মোহসিনুল বারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান, এইচ.এম ইকবাল হুসাইন অন্তর ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহসান।