ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ও হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো এন্টারলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম (১১১০৯৩)। তিনি মমেক’র গ্যাস্ট্রো এন্টারলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখা, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা কর্তৃক ৩০ অক্টোবর (সোমবার) উপসচিব সারমিন সুলতানা-এঁর স্বাক্ষরিত ও জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এই তথ্য জানাগেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন তাঁদের পদোন্নতির অব্যবহিত পর্বের পদ ও কর্মস্থলে (ইনসিট) কর্মরত থাকবেন।
ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল করিমের শিশু ও কৈশোরে বেড়ে উঠা কৈয়াকুড়ি কান্দাপাড়া গ্রামেই। তিনি স্থানীয় কাজাইকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এস.এস.সি; ১৯৯২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৯৯ সালে এমবিবিএস পাস করেন এবং ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বারডেম একাডেমী থেকে গ্যাস্ট্রো এন্টারলজী বিভাগে এম.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী/সমর্থক ছিলেন বলে বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে।
ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকুড়ি কান্দাপাড়া এলাকার মো. আবুল হোসেন ও মিসেস রোকেয়া বেগম দম্পত্তির সন্তান। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর বেগম নিজেও একজন চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মো. রাকিবুল হাসান সোহেল পেশায় একজন শিক্ষক। তবে সোহেল অবসরে ঔষুধের একটি দোকান পরিচালনা করেন। রাকিবুল হাসান সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত। তিনি ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো এন্টারলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হওয়ায় এলাকার সর্বসাধারনের যেন আনন্দের শেষ নেই। নকলার কৃতিসন্তান হিসেবে নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
এদিকে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম চিকিৎসাদানের ক্ষেত্রে সেবামূলক পেশা হিসেবে সুনাম অর্জন করার লক্ষ্যে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। তবে ব্যস্ততার কারনে নিজের এলাকায় গিয়ে জনগনের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ না থাকায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।