ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে জামালপুর-শেরপুর সড়কে প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার-এর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি.এম আফসার বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও শাবিহা জামান শাপলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিম বাবুল, নকলা প্রেস ক্লাবের সদস্য কবি-কলামিস্ট প্রথিতযশা সাংবাদিক তালাত মাহমুদ, সঞ্জিব চন্দ্র বিল্টু, মলয় মোহন বল, আমিরুজ্জামান লেবু, জি.এইচ হান্নান, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মারুফুর রহমান, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি নমশের আলম, ইউসুফ আলী রবিন প্রমুখ।
সাংবাদিকদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম হিরু, শেরপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেছুর রহমান আকন্দ, সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগের জেলা আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ।
বক্তারা বলেন প্রতিনিয়ত দেশের কোন না কোন এলাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে; যা উদ্বেগজনক। এথেকে রেহাই পেতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করনে তারা। তারা জানান, ২৮ অক্টোবর শনিবার সাংবাকিদরা বিএনপির মহাসমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গেলে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মীরা একজন সাংবাদিককে নির্মম নির্যাতনে হত্যা ও প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে আহত করে। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সাংবাদিক হত্যা ও হামলার সাথে জড়িতদের চিহৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
এসময় নকলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী রাজন ও মো. নূর হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ফারুক, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন, কল্যাণ তহবিল বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল হাসান নাহিদ ও সদস্য এ.কে.এম মমিনুল বাশার বাবু; মানবাধিকার সংগঠন ‘আমাদের আইন’র জেলা সভাপতি নূরে আলম চঞ্চল ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ‘আজকের তারুণ্য শেরপুর’ এর মতো বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।