শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল আমন ধানের জাত বিনাধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মাদ্রাসা বাজারে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম তরফদার-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিনা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসে বিশষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ বিনা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্থানীয় কৃষক সরকার গোলাম ফারুক।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন- কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আনেয়ার হোসেন ও কৃষিবিদ মওদুদ আহম্মেদ, নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল আহম্মেদ ও ফার্ম ম্যানেজার কৃষিবিদ শফিকুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জানান, বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল আমন ধানের জাত বিনাধান-১৭ কাটার পরে ওই জমিতে কৃষকরা সহজেই সরিষা আবাদ করতে পারবেন। তারা বলেন, আমন মৌসুমে ভিন্ন জাতের ধান আবাদ করলে ওই জমির ধান কাটার পরে অন্য কোন ফসল আবাদ করা সম্ভব নয়; কিন্তু বিনাধান-১৭ জাতের ধান রোপণ করলে তা কেটে ওই জমিতে সরিষা বা অন্য আবাদ করা সম্ভব। এতেকরে একজন কৃষক এক জমিতে একই মৌসুমে ম্যবর্তী আবাদ করার সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। এতে দেশের কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
এসময় উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফারুক আহসানসহ অন্তত ৫জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্র ও উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, স্থানীয় দেড়শতাধিক কৃষক-কৃষাণী ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এই মাঠ দিবসে ফসলের গুণগতমান বজায় রেখে উৎপাদনের হার নির্ধারনের সুবিধার্থে কম্বাইন হারভেস্টরের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক সরকার গোলাম ফারুকের ক্ষেতের বিনাধান-১৭ জাতের আবাদ কাটা হয়। এতে ভিজা অবস্থায় (২৩% আদ্রতায়) প্রতি একরে গড়ে ৬৫ মণ এবং শুকণা অবস্থায় (১৪% আদ্রতায়) প্রতি একরে গড়ে ৫৮.৫ মণ ধান পাওয়া যায়।