শেরপুরের নকলা উপজেলার ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম চলে মহিলা মার্কেটের এক দোকান ঘরে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গৌড়দ্বার ইউপির সকল কার্যক্রম চলে অন্যের কোন কক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে মহিলা মার্কেটের ৮ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ওই পরিত্যক্ত কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম চালানোতে স্বাভাবিক কারনেই জনগন সঠিক সময়ে তাদের নির্ভিঘ্নে ন্যায্য সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহিলা মার্কেটের পাশে দুর্গন্ধময় ডাস্টবিন পড়ে আছে। পাশদিয়ে গেছে খোলা ড্রেন। ডাস্টবিন আর দুর্গন্ধময় ড্রেনের পাশে মহিলা মার্কেটের ছোট একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম চালানো যেন বর্তমান কালের সকল নোংরা পরিবেশকে হার মানায়। তাছাড়া ওই অফিস কক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব তাদের চেয়ার ও টেবিল রেখে নিজ নিজ স্থানে বসার পরে জায়গার অভাবে সেবা গ্রহীতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় অনেকে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে মফস্বল এলাকায় জনসেবার মান অবশ্যই গুণগতমানের হতে হবে এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পরিবেশটাও হতে হবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ মানের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের পারিপার্শিক অবস্থা ও পরিবেশ অব্যশই সন্তোষজনক হতে হবে বলে তারা মনে করেন।
জনস্বার্থে তথা ইউপির জনসেবা সহজকরনের লক্ষ্যে ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত হোসেন খান মুকুল গত দুই বছর আগে এই পরিষদের নামে ২৫ শতাংশ জমি স্বেচ্ছায় দান হিসেবে সাবকওলা করে দিয়েছেন। সেখানে আজ পর্যন্ত ইউপি ভবন করার উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। জনস্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের নামে দেওয়া ওই জমিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করা হলে গৌড়দ্বার ইউনিয়নবাসীদের সুন্দর পরিবেশে সেবা নিতে সহজ হতো বলে সব পেশা-শ্রেণীর জনগন মনে করেন।
স্থানীয় এক মুরুব্বী জানান, ২০০৩ সালে গৌড়দ্বার ইউনিয়নের বিশাল একটি অংশ নকলা পৌরসভার সাথে সংযুক্ত করা হয়। এরপর থেকে অফিস কক্ষের অভাবে নানান জটিলতার মাঝে অস্থায়ী কার্যালয়ে ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ ইউপি সদস্য সায়েদুল ইসলাম বলেন, জনগন আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচত করেছেন তাদের সেবা প্রদানের জন্য। তাই শত প্রতিকূলতাকে ওপেক্ষা করে এবং সকল কষ্টকে মেনে নিয়ে হলেও জনসেবা আমাদেরকে সঠিক ভাবে দিতে হয় এবং হচ্ছে। প্রায় সময় সেবা নিতে আসা গ্রাহকদেরকে দাঁড়িয়ে থেকে সেবা নিত্ েহয়! যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক বিষয় বটে। তাই গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের নামে থাকা ২৫ শতাংশ জমিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের দাবী জানিয়েছেন সাধারন জনগন।
গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন খান মুকুল বলেন, আমরা আধুনিক যুগ পেড়িয়ে ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে প্রবেশ করতে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। অথচ এমন সময়েও গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবন না থাকা সকলে জন্য লজ্জা জনক ও দুঃখ জনক বিষয় বটে। নিজস্ব ভবন না থাকা বা যথেষ্ট জায়গা না থাকায় অনেক সময় ইউনিয়ন পরিষদের ছোট খাটো কার্যক্রম কোন দোকানে বসে বা বাসায় বসে চালাতে হয় বলে তিনি জানান। তাই খুব দ্রুত সমরে মধ্যে গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সাংবাদিকের লেখনির মাধ্যমে একটি নতুন ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।