শেরপুরের নকলায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফ-এঁর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ-এর সঞ্চালনায় অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
বক্তারা আরো জানান, ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ-এর জন্য প্রণীত সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।
এসময় নকলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, সদস্য রেজাউল হাসান সাফিতসহ স্থানীয় সাংবাদিকগন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমতে, ১৯৭৩ সালে দেশের ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। সে বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটিও হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। ওইদিন ঠাকুরগাঁওয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ (৭৬.০৮) শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ (৭৪.৬৬)। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।