শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নত জাতের হাঁস-মুরগী ও হাঁস-মুরগী রাখার ঘর বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প-এর অর্থায়নে হাঁস-মুরগী ও হাঁস-মুরগী রাখার ঘর বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল মিলনায়তনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. ইসহাক আলী-এঁর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. সুজন মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ।
এসময় উপ-সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান মঞ্জুসহ মাঠ সহকারীগন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক সুবিধাভোগী নারী-পুরুষ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প-এর অর্থায়নে উপজেলার ২১টি পরিবারের মাঝে ২০ টি করে মুরগি ও মুরগি রাখার একটি করে ঘর এবং ২১টি পরিবারের মাঝে ২০ টি করে হাঁস ও হাঁস রাখার একটি করে ঘর প্রদান করা হয়েছে।