শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১৪ হাজার ৩১৯ টি দরিদ্র বা সল্প আয়ের পরিবারের মাঝে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বেধন করা হয়েছে। এসময় বানেশ্বরদী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান উছমান আলী, বানেশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এ.এস.এম.বি করিম শাহজাহান, যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সিঞ্জু, ইউপি সচিব জাহিদ নেওয়াজ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইনসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত সকল গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪ হাজার ৩১৯ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মধ্যে, ১নং গণপদ্দী ইউনিয়নের এক হাজার ২৭০ টি পরিবার, ২নং নকলা ইউনিয়নের এক হাজার ১২৯ টি পরিবার, ৩নং উরফা ইউনিয়নের এক হাজার ৩০০ টি পরিবার, ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ৮৭০ টি পরিবার, ৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের এক হাজার ৭০ টি পরিবার, ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের এক হাজার ১৭০ টি পরিবার, ৭নং টালকী ইউনিয়নের এক হাজার ৭০ টি পরিবার, ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়নের এক হাজার ২৭০ টি পরিবার, ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের এক হাজার ৩৭০ টি পরিবার ও পৌরসভার ৩ হাজার ৮০০টি পরিবারকে এই সুবিধাভোগীর আওতায় আনা হয়েছে।
তথ্য মতে, চলতি আগষ্ট মাসের জন্য বরাদ্দকৃত টিসিবি পণ্য প্যাকেজের প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, যার মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা; ২ কেজি মসুর ডাল, যার মূল্য ধরা হয়েছে ১১০ টাকা ও ২ লিটার সয়াবিন তেল, যার মূল্য ধরা হয়েছে ২১০ টাকা। এ হিসেব মতে প্রতিটি পরিবারকে ৪৭০ টাকার বিনিময়ে আগষ্ট মাসের টিসিবি প্যাকেজের প্যাকেট ক্রয় করতে হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পেরে খুশি দরিদ্র বা সল্প আয়ের পরিবারের লোকজন।