শেরপুরের নকলায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরে ইলিয়াস হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে বোরোরচর এলাকায় নদের তীরবর্তী ভাসমান আবস্থায় ফুলে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ডেবুয়ারচর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ইলিয়াস ও তারা বন্ধু নারায়ণখোলা বাজার এলাকার নজরুল ইসলাম ভূইয়ার ছেলে রামিন মিয়া (২০) ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে চরঅষ্টধর ইউনিয়নের টাঙ্গাইল্যাপাড়া আদর্শগ্রামে যায়। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত থাকায় বাড়ি ফিরার পথে নৌকা না পেয়ে তারা দুইজন সাঁতরে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হওয়ার সময় ইলিয়াস পানিতে ডুবে যায়।
এরপরে রবিবার সকাল থেকে নদের পানির খড়া স্রোতে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ ইলিয়াসকে উদ্ধার করতে নাপেরে ফিরে যায় ডুবুরি দলের উদ্ধারকর্মীরা। এরপরে ইলিয়াসের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী নিজ নিজ অবস্থান থেকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখেন। অবশেষে ময়মনসিংহের বোরোরচর এলাকায় নদের তীরের নিকটে ইলিয়াসের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এই সংবাদ পেয়ে পুলিশ ইলিয়াস হোসেনের ফুলে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেন।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মুকুল হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পরে বোরোরচর এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের নিকট থেকে ভাসমান অবস্থায় ফুলে যাওয়া ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় ইলিয়াসের বন্ধু রামিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে নকলা থানার পুলিশ। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রামিন জানায়, তারা দুইজন ইয়াবা সেবনের জন্য শনিবার রাতে টাঙ্গাইল্যাপাড়া আদর্শগ্রামে যায়। সেখানে ইয়াবা সেবন শেষে গভীর রাতে নৌকা নাপেয়ে সাঁতরে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হওয়ার সময় ইলিয়াস পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
এদিকে ইলিয়াসের বাবা নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে পাকা সাঁতারু। সে কখনও পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।