শেরপুরের শ্রীবরদীতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবু সালেহ মো. নরুল ইসলাম হিরো-এঁর উদ্যোগে ২৫২ জন চক্ষু রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।
উপজেলার ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এবং জামালপুর ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের তত্বাবধানে সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, ৪৩ জন ছানীপড়া রোগীকে অপারেশনের জন্য জামালপুর ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে প্রেরন হয়েছে, যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় অপারেশন করা হবে। তাছাড়া চোখে মাংস বৃদ্ধির জন্য ৬ জনকে, নেত্রনালী অপারেশনের জন্য ৭ জন রোগীকে জামালপুরের ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা নিতে আসা ১৯৬ জন রোগীকে চোখের ড্রপসহ যাদের চশমা লেগেছে তাদেরকে স্বল্প মূল্যে চশমা দেয়া হয়েছে। এহিসেব মতে ১৩৮ জন নারি ও ১১৪ জন পুরুষকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, অপারেশন লাগা রোগীদেরকে আবু সালেহ মো. নরুল ইসলাম হিরো-এঁর উদ্যোগে বিনামূল্যে অপারেশনসহ দুই দিনের থাকা খাওয়া, ঔষধ, চশমা ও একমাসের ঔষধ দিয়ে নিজ নিজ বাড়ী পৌঁছে দেওয়া হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবু সালেহ মো. নরুল ইসলাম হিরোসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম তারা, ভেলুয়া ইউনিয়নের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিনসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জামালপুরের ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষত ডা. নাসিফ ইসলাম, মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট কৃষ্ণা, কণিকা, সুবর্ণা, তানভীর আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সংগঠক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
অসহায়-দরিদ্র রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ মো. নরুল ইসলাম হিরোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাসহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা।