এবার শেরপুরে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে শেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য-এঁর সভাপতিত্বে অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্রাচার্য জানান, আগামী ১৮ জুন একযুগে জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ১ হাজার ৩৪৩টি টিকাদান কেন্দ্রসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩৫৮টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এদিন ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন জানান।
জানা গেছে, জাতীয় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলায় মোট ৫৫২ জন স্বাস্থকর্মী এবং ২ হাজার ৭১৬ স্বেচ্ছাসেবক টিকাদান কেন্দ্রে কাজ করবেন। ৬ মাস থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী ২৫ হাজার ৬৭১ জন শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯১ হাজার ৪১২ শিশুকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে যদি কোন শিশু ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পড়ে, তবে পরবর্তীতে নিকটতম কোন স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে খাওয়ানো যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এই অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ মেডিকেল অফিসারগন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই), জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা ও চিকিৎসকগন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।