শেরপুরের নকলায় সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে গাড়ি চুরি ঠেকাতে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত প্রতিটি অটো রিক্সায় রোড নির্ধারনী স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতেকরে কোন কোন গাড়ি কোন রাস্তায় চলবে তা সুস্পষ্ট ও বড় অক্ষরে লিখে দেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে রবিবার (৭ মে) দুপুরের দিকে নকলা পৌরশহরের নালিতাবাড়ী মোড়ের নিউ মার্কেট এলাকায় স্টিকার সংযোজন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একতা মটরস ও আসাদ ডিজিটাল প্রিন্টার্সের উদ্যোগে ও সৌজন্যে এসব স্টিকার দেওয়া হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে নকলা-নালিতাবড়ী ট্রাফিক জোন ও নকলা উপজেলা সিএনজি-অটো-রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন।
সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে গাড়ি চুরি ঠেকাতে প্রতিটি অটো রিক্সায় রোড নির্ধারনী স্টিকার লাগানোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সার্জেন্ট (ভারপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) সালমান খান, একতা মটরস-এর স্বত্ত্বাধিকারী আসাদুল হক আসাদ, নকলা উপজেলা সিএনজি-অটো-রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব-ক্রীড়া শাহ মো. ফুয়াদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও যুবনেতা সারোয়ার হোসেন রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হাসান, প্রচার সম্পাদক আল আমিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) আরিফুল ইসলাম, ট্রাফিক সদস্য সজিব হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম মোস্তফা, সদস্য নাইম হোসেন পাপ্পু, সাজ্জাদ হোসেন দীপু ও আল-আমিন হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সার্জেন্ট সালমান খান জানান, প্রতিটি সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সায় নিজ নিজ চলাচলের রাস্তার নাম উল্লেখ্য সহকারে স্টিকার লাগানো থাকায় কোন চালক ইচ্চঅ করলেই এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। তাছাড়া কোন গাড়ি চুরি হলে, তা নিয়ে যাওয়ার সময় স্টিকার দেখে যেকেউ তা আটক করতে পারবেন। ফলে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চুরি কিছুটা হলেও কমবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
উপজেলা সিএনজি-অটো-রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, প্রায়ই দেখা যায় এক জায়গার/রোডের গাড়ির চালকগন অন্য জায়গা গিয়ে যাত্রীর আশায় ভিড় করেন, ফলে স্বাভিক কারনেই যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় রাস্তায় চলাচলকারী সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে গাড়ি চুরি ঠেকাতে অটো রিক্সায় রোড নির্ধারনী স্টিকার লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
একতা মটরস-এর স্বত্ত্বাধিকারী আসাদুল হক আসাদ বলেন, আমি যেহেতু ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার ব্যবসা করি, সেহেতু আমি চাই এই জগতে শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। এতে করে আমরা সবাই উপকৃত হবো। তাই নিজে থেকেই সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা পরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে গাড়ি চুরি ঠেকাতে এই অভিনব কৌশল হাতে নিয়েছি। এতে কোন লোক যদি উপকৃত হয়, তাতেই আমার উদ্যোগ সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
সিএনজি-অটো-রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রবিন বলেন, অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত বা অদক্ষ চালকরা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে গাড়ি রেখেই পালিয়ে যায়, ফলে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু আজকে প্রতিটি গাড়িতে স্টিকার লাগানোর ফলে এখন থেকে অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া সহজ হবে।