শেরপুরের নকলায় বৈদ্যুতিক সেচের তারে জড়িয়ে মজনু মিয়া (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার দড়িতেঘরি এলাকায় ঘটে।
চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যু ঘোষণার পরে বাড়ি ফিরার পথে লাশ কেঁপে ওঠায় জীবিত সন্দেহে নকলাসহ ফুলপুর ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত মজনু মিয়া উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের দড়িতেঘরি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরের দিকে মজনু মিয়া নিজ ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক সেচের সুইচ দিতেগেলে অসাবধানতার কারনে বিদুৎতায়িত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিব।
এদিকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরার পথে নিহত কৃষক মজনু মিয়ার লাশ হঠাৎ কেঁপে উঠে! এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন লাশ সরাসরি বাড়িতে না নিয়ে প্রথমে পাশের উপজেলা ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের চিকিৎসকগও মৃত্যু ঘোষণা করেন। এতেও পরিবারের লোকজনের বিশ্বাস না হওয়ায় তারা লাশ নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকগন কৃষক মজনু মিয়াকে তৃতীয় বারের মতো মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেন পরিবারের লোকজন।