শেরপুরের নকলা উপজেলার ৭নং টালকী ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের আজগর আলী নামে শারীরিক ভাবে অক্ষম এক দরিদ্র বর্গাচাষীর বোরো ধান কেটে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ধান কাটা শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪২ শতক জমির ধান কাটেন তারা। পরে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ওইসকল ধানের আটি ওই দরিদ্র বর্গাচাষীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নকলা উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একদল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এ ধান কাটা কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
স্বেচ্ছাশ্রমে এ ধান কাটা কর্মসূচিতে উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু হামযা কনক ছাড়াও নাজমুল হাসান নাঈম, শাওন হাসান, আল আমিন আকন্দ, স্বাধীন, ইয়াকুব, রাজু মিয়া, মজিদ মিয়া, লেমন, মুখলেছ, সিফাত, আশরাফুল ইসলাম, মামুন, নিরব, রিপনসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহন করেন।
শারীরিক ভাবে অক্ষম দরিদ্র কৃষক আজগর আলী বলেন, ছাত্ররা আমার ধান কেটে নাদিলে টাকার অভাবে হয়তোবা সঠিক সময়ে ধান কাটা সম্ভব হতোনা। তারা আমার ধান কেটে দেওয়ায় আমি খুব উপকৃত হলাম।
আবু হামযা কনক বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে চলি। তাই ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ’-এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করেই আমরা চলতি মৌসুমে অসহায় দরিদ্র কৃষকদের বোরো ধান কেটে সঠিক ভাবে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগনের নির্দেশক্রমে আমাদের এই ধান কাটা কর্মসূচি বৈষয়িক মন্দা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু হামযা কনকসহ অনেকে মনে করছেন।
কনক আরো বলেন- দেশ ও জাতির উন্নয়নে এরকম অসহায় দরিদ্র বর্গাচাষীদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবো ইনশাঅল্লাহ। ছাত্রলীগের সুনাম রক্ষায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন নকলা উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আবু হামযা কনকসহ বৃহস্পতিবারের ধান কাটা কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী অন্যান্যরা।