বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফুল ও গাছের চারা বিক্রি করে বছরে সঞ্চয় লাখ টাকা নকলায় জিয়া মঞ্চ’র উপজেলা কমিটি গঠন বিষয়ক আলোচনা সভা শেরপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় নকলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাতির পর মারা গেলেন নানি কৃষি বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা জুড়ে তালগাছ ৪ ডিসেম্বর ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস বাংলাদেশের চিলমারীর রিকতা বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় নকলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাতী নিহত, নানী আহত নকলায় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরষ্কার বিতরণ বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন

২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস

অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশের সময় | রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৩৬ বার পঠিত

আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালে প্যারিসে ইউনেস্কোর ২৮তম সাধারণ সভায় সারা বিশ্বের গ্রন্থ, গ্রন্থকার ও পাঠকদের সম্মান জানিয়ে ২৩ এপ্রিল দিনটিকে ‘বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে ২৩ এপ্রিল ‘বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে।

ইউনেস্কোর ২৮তম সাধারণ সভায় এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, “বই হলো সর্বশক্তিমান। জ্ঞানের বিস্তৃতির জন্যে বইয়ের ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন। মানবসমাজকে উৎসাহিত করার জন্যে, বিশ্ববাসীকে বই পড়ার আনন্দ উপভোগ করতে বইয়ের গুরুত্ব বোঝানো হোক।” একই সঙ্গে মানবতাকে, বিশ্ব মানবসমাজকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে যে সমস্ত মনীষী সমৃদ্ধ করেছেন তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে জ্ঞানের বিস্তৃতির জন্যে বইয়ের প্রচারে সকলকে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয় ওই সভায়।

ইউনেসকোর উদ্যোগে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর দিবসটি উদাযাপন করা হয়। বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোই বই দিবসের মূল উদ্দেশ। এ কারণে কপিরাইট দিবস হিসেবেও দিনটিকে পালন করা হয়।

বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তাঁর ভাবশিষ্য। প্রিয় লেখক ও তাঁর সৃষ্টিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস নিজ দেশ পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস।

১৯৯৫ খিষ্টাব্দে ইউনেসকো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরের ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

এই দিনটিকে নির্বাচন করার মূল উদ্যোক্তা ছিল ক্যাটালোনিয়া নামক একটি দেশ। স্পেনের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত এই দেশটাকে আমরা ভালো ভাবে চিনি না। সত্যি বলতে, অনেকে এই দেশটির নামও শুনিনি। এই দেশটির রাজধানীর নাম বার্সিলোনা। ক্যাটালোনিয়াতে ২৩ এপ্রিল দিনটি পালিত হয় “সেন্ট জর্জিস ডে” হিসেবে। ওই দেশের মানুষ বিশ্বাস করেন, ৩০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিলে সেন্ট জর্জ মারা গিয়েছিলেন। তাঁর স্মরণে তাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে গোলাপ ফুলের সঙ্গে একটি করে বই উপহার দিতেন। মধ্যযুগ থেকে এই প্রথা চলে আসছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে খ্রিষ্টানরা সেন্ট জর্জকে এখনো এইভাবেই স্মরণ করেন।

১৯২৩ সালে ক্যাটালোনিয়া দেশের পুস্তক ব্যবসায়ীরা একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা ঠিক করেন, ২৩ এপ্রিলে যাঁরা বই কিনবেন, তাঁদের সবাইকে একটি করে গোলাপ উপহার দেওয়া হবে। এমন সিদ্ধান্তের পরে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ২৩ এপ্রিলে সারা বছরের তুলনায় প্রায় চার লক্ষ বই বেশি বিক্রি হয়। দেশটিতে এই প্রথাটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যায়। সেখানে এখনও ২৩ এপ্রিলে বইয়ের সাথে গোলাপ উপহার দেওয়ার প্রথা চলমান আছে। ক্যাটালোনিয়াতে প্রতিবছর এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।