বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রফিকুল ইসলাম আধার’র ২টি কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যচ্ছে একুশে বই মেলায় বন্যার ক্ষতি পোষাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নকলার কৃষক শেরপুরে ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নকলায় ভিডব্লিউবি উপকারভোগীর মাঝে সঞ্চয়ের টাকা প্রদান নকলায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ শেরপুরের ৩টি সংসদীয় আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা নকলায় শতভাগ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপণা পুরষ্কার প্রদান নকলায় গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ৪ নকলায় নেতৃবৃন্দের খোঁজখবর নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফাহিম চৌধুরী নকলার চরঅষ্টধর ইউনিয়ন যুব অধিকার পরিষদ’র সভাপতি রনি, সম্পাদক সুজন

নকলায় কনকের দেওয়া উপহারে শত মানুষের ঈদ কেটেছে আনন্দে

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩০৬ বার পঠিত

ঈদ মানে নতুন জামা কাপড় পড়ে সেজে বিভিন্ন জায়গায় বা আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরে বেড়ানো। ঈদ মানেই কাছের ও দূরের সকলকে মিলেমিশে আনন্দঘন পরিবেশে অন্তত একটি দিনকে উদযাপন করা।

ঈদ উৎসবের আমেজে প্রিয় মানুষদের কাছে পেয়ে সবাই যখন পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ব্যস্ত ঠিক এই মূহুর্তেও ঈদের খুশি ভাগাভাগিতে ব্যস্ত ছিলেন শেরপুরের নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবয়ক আবু হামযা কনক’র। সবাই আনন্দে মেতে উঠলেও তার ঈদের দিনটি কেটেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বাড়িতে স্বাভাবিক কাপড়ে ঘুরাফিরার মধ্যদিয়ে।

আর বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘুরাফিরা শুধু ঈদের দিনেই নয়, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে এবং তাদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করে আসছেন। এবারের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে আবু হামযা কনক শতাধিক মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন।

অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশাপাশি কনকের ঈদ উপহার প্রাপ্তি থেকে বাদ পড়েনি উপজেলায় কর্মরত ও সুপরিচিত গণমাধ্যম কর্মীরাও। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মানুষের এবারের ঈদ বেশ আনন্দে কেটেছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনকের দেওয়া ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে।

কনক বলেন, মানবিকতার দায়িত্ব মাথায় নিলে যেকোন উৎসব আনন্দের ঊর্ধ্বে থেকেও আনন্দ উপভোগ সম্ভব। বরাবরের ন্যায় নিজের বাসায় মা-বাবাসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করার চেয়ে তাদেরকে রেখে বাহিরে অনেকের সাথে ঈদ উদযাপন করা কষ্টের তুলনায় অনেক বেশি আনন্দের ও তৃপ্তির। তাই আমি কয়েক বছর ধরে বাবা-মা ও পরিবার-পরিজনকে বুঝিয়েই প্রতিটি উৎসবের সময় নিজরে সামর্থ অনুযায়ী উপহার নিয়ে অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি এবং তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে আসছি। এবারও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। তিনি আরো বলেন, আমি ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় প্রকৃত অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শতাধিক মানুষের তালিকা তৈরী করে তাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি। এসব অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মুখের হাসি দেখলে আমি আমার অতীতের সকল আনন্দ, দুঃখ-কষ্টকে ভুলে যাই। তাদের হাসি মাখা চেহেরার মাঝেই ঈদসহ সকল উৎসবের আনন্দ খুঁজে পাই। তাই ঈদের দিনেও সবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করেছি।

আবু হামযা কনক আরো বলেন, আমি সব সময় নিজের সামর্থের মধ্যে যেকোন অসহায়ের পাশে দাড়াঁতে চেষ্টা করি। শুধু আর্থিক ভাবে সহায়তা দেওয়ায় আমি বিশ্বাসী নই। যেকোন অসহায় যৌক্তিক ভাবে যে ধরনের সহায়তা পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা মনে করি, আমিসহ সকল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ঠিক সেই ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সদা তৎপর ছিলো, আছে এবং থাকবে। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, প্রতি বছর বোরো মৌসুমে যখন শ্রমিক সংকট দেখে দেয় এবং শ্রমিকের মজুরি মিটাতে সমাজের অসহায় ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সার্মথের বাহিরে চলে যায়, তখন সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরঅংশ হিসেবে সেই করোনার মহামারির সময় থেকে নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসহায়দের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও প্রকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে অসহায় কৃষকদের রক্ষা করতে ভূট্টা তোলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়াসহ সেবাধর্মী বিভিন্ন কাজ করে বৃহত্তম ময়মনসিংহের মধ্যে নকলা উপজেলা সেরা ছাত্রলীগের উপজেলা ইউনিট হিসেবে সবার কাছে সুনাম অর্জন করেছে। ছাত্রলীগের এই সুনাম ধরে রাখতে সকলের পরামর্শ মূলক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।