পবিত্র রমজানের শেষভাগে তীব্র তাপদাহের কারনে তরমুজের চাহিদা বেড়েছ। এই সুযোগে শেরপুরের নকলা উপজেলায় প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষরা তরমুজ কিনতে পারছেন না। তরমুজের বাজারে সস্থি খোঁজতে গিয়ে অসস্থির সম্মুখিন হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, বিক্রেতারা প্রতিটি তরমুজ পাইকারী হিসেবে কিনে আনলেও, খুচরা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষরা তরমুজ কিনতে পরাছেন না।
প্রচণ্ড গরম ও রমজানে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়া বিক্রেতারা সকাল-বিকেল দাম বাড়াচ্ছেন। সকালে প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি করলেও, বিকেলে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা করে।
উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা থরে থরে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। তরমুজের মৌসুম হলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। রমজান ও গরমের কারণে দুপুরের আগে ৪-৫ কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে, ৩-৪ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা বিক্রি করলেও, বিকেল হতেই তরমুজের চাহিদা বাড়তে থাকে। এই সুযোগে প্রতি কেজি তরমুজের দাম নেওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা করে।
ঝুমুর সিনেমা হল চত্তরের তরমুজ বিক্রেতা নাজমুল ইসলাম জানান, রমজানে তরমুজের চাহিদা বেশি, পাশাপাশি হঠাৎ গরম পড়ায় চাহিদা যেন আকাশচুম্বি হয়েছে। তাই পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এতে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে বিক্রেতাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নাজমুল ইসলাম আরো জানান, রোজাতে তরমুজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় তিনি আপাতত তরমুজ বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছেন।
উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামের তরমুজ ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, পরিবারের ছোট ও বৃদ্ধদের আবদার রক্ষার জন্য বেশিমূল্য দিয়েই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তরমুজ রসালো ফল হওয়ায় পানি শূন্যতা দূর করতে ইফতারে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই প্রায় সবাই তরমুজের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু ৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করায় পরিবারের ছোট ও বৃদ্ধদের আবদার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও নিম্ন আয়ের রোজাদারগন উচ্চ মূল্যে তরমুজ কিনতে পারছেন না। তাই নিম্ন আয়ের রোজাদারদের কথা বিবেচনা করে ও তাদের সুবিধার্থে হলেও তরমুজের বাজার তদারকি করার অনুরোধ জানান অনেকে।