শেরপুরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বন্যাক্রান্ত, অন্যান্য দুর্যোগাক্রান্ত, দুঃস্থ, অতিদরিদ্র ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)-এর কার্ডধারী ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে জেলার নকলায় ভিজিএফ কার্ডধারী ১৬ হাজার ৯৯৪ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ-এর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রতিজনের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে। এতে নকলা পৌরসভার ৩ হাজার ৮১টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে এবং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মোট ১৩ হাজার ৯১৩টি পরিবারের প্রধানের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জেলার মোট ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫টি সুবিধাভোগী পরিবার মধ্যে, ইউনিয়ন পর্যায়ে শেরপুর সদর উপজেলায় ৭০,৯৪৫টি, নকলায় ১৩,৯১৩টি, নালিতাবাড়ীতে ৩২,৮২৯টি, শ্রীবরদীতে ২১৪৫৫ টি ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১২,৬০০টি পরিবারসহ মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২টি পরিবার এবং পৌরসভা ভিত্তিক শেরপুর পৌরসভার ৪,৬২১টি, নকলা পৌরসভার ৩,০৮১টি, নালিতাবাড়ী পৌরসভার ৩,০৮১টি, শ্রীবরদী পৌরসভার ১,৫৪০ টি পরিবারকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে।
বিতরণের অংশ হিসেবে সোমবার সকালে নকলা পৌরসভা প্রাঙ্গনে ভিজিএফ চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান লিটন।
এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইন্তাজ আলী, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুল হাসান, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছা. সুফিয়া বেগম, জমিলা বেগম ও সুফিয়া খাতুন; সাধারণ কাউন্সিলর সারুয়ার আলম, জরিফ হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিক, ফরিদ আহম্মেদ লালন, তোতা মিয়া, জিয়াউল হক, ইয়াদ অলী ও রফিকুল ইসলাম; হিসাব রক্ষক ফেরদৌসুর রহমান, সহকারী কর আদায়কারী মো. মোশাররফ হোসেন ও গৌর দেবনাথ, সহকারী প্রকৌশলী স্বপন আহম্মেদ, লাইসেন্স পরিদর্শক মাসুদ রানা, টিকাদান সুপার ভাইজার মুকলেছুর রহমান, স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস সৌরভসহ পৌরসভায় কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত অসহায় বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র দুস্থ নর-নারী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে গনপদ্দী ইউনিয়নের ১,৮৫০টি পরিবার, নকলা ইউনিয়নের ১,৪০০ পরিবার, উরফা ইউনিয়নের ১,৭৫০টি পরিবার, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ৯১৩ পরিবার, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ১,৩৫০টি পরিবার, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ১,৬০০ পরিবার, টালকী ইউনিয়নের ১,৩৫০টি পরিবার, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ১,৭৫০টি পরিবার ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ১,৯৫০টি পরিবারের মাঝে এবং পৌরসভার ৩,০৮১টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ কাজ চলছে। এ ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৪০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।