শেরপুরের নকলা উপজেলার দিশারী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা চলে।
৪ জন সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি ও একজন সংরক্ষিত নারী অভিভাবক প্রতিনিধি বাছাইয়ের লক্ষ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে ৯ জন পুরুষ অভিভাবক এবং সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি হিসেবে ২ জন মহিলা অভিভাবক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে মোট ৩৫৫ ভোটের মধ্যে ২৫৫ জন ভোটার তাদের মনোনিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এতে নূর ইসলাম সর্বোচ্চ ১৫৫ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান, রবিউল ইসলাম ১৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান, আলামিন ১৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান ও মো. উসমান মিয়া ১৪৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করে সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার মিয়া পেয়েছেন ৪১ ভোট, আফাজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৪ ভোট, চঞ্চল পেয়েছেন ৪৬ ভোট, মো. জিয়ার রহমান পেয়েছেন ৩৫ ভোট ও সহীদ মিয়া পেয়েছেন ৩৮ ভোট।
এছাড়া মাজেদা খাতুন ১৯৩ ভোট পেয়ে সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুক্তা খাতুন পেয়েছেন ৩১ ভোট।
প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান অত্যান্ত শন্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন শেষে সকলের উপস্থিতিতে ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।
দিশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখায় রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহম্মদ, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ভোটারবৃন্দ ও এলাকাবসীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সুষ্ঠু, অবাদ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাসিম রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, অভিভাবক তথা ভোটারবৃন্দ, পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মী, এলাকাবাসী, সকল শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ও সাংবাদিকসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।